ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে এক বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত সাড়ে ৫ হাজার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২৩
চট্টগ্রামে এক বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত সাড়ে ৫ হাজার ...

চট্টগ্রাম: ভাইরাসজনিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকে সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত। কিন্তু এবছর নভেম্বর-ডিসেম্বরেও ব্যাপকভাবে ডেঙ্গুর সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে।

জীবাণুবাহী মশা কোনও ব্যক্তিকে কামড়ালে চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। আক্রান্ত ব্যক্তিকে জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটি ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়।

এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।

চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এবছর ডেঙ্গুতে যত মানুষ মারা গেছেন তা অন্য যেকোনও বছরের তুলনায় বেশি। বেশিরভাগের মৃত্যু হয়েছে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শেষ তিন মাসে। শক সিনড্রোম ও হেমোরেজিক অবস্থা ডেঙ্গুতে মৃত্যুর অন্যতম কারণ।

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, গত এক বছরে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ৪১৭ জন। এর মধ্যে সর্বশেষ ডিসেম্বর মাসে ৭৩৪ জন। যা নভেম্বর মাসের চেয়ে ১ হাজার ২৭৩ জন কম। এছাড়া নভেম্বর মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৭ জন। যা গত অক্টোবর মাসে আক্রান্তের চেয়ে ১৪৬ জন বেশি। গত অক্টোবরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৮৬১ জন। চলতি নভেম্বর মাসে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের মধ্যে এক হাজার ৫৫৪ জন নগরের বাসিন্দা।  

ডেঙ্গুর তথ্য বিশ্লেষণে আরও দেখা যায়, এ বছর জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে মাত্র ৯ জন। ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্তের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৪ জন। মার্চ ও এপ্রিলে ডেঙ্গুতে যথাক্রমে ১ ও ৩ জন আক্রান্ত হলেও মে মাসে পাওয়া যায়নি কোনও রোগী। তবে জুন মাস থেকে আবারও বাড়তে শুরু করে আক্রান্তের সংখ্যা। এ মাসে আক্রান্ত হয় ১৯ জন। গেল জুলাই মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত বেড়ে ৬৪ জন, আগস্ট মাসে ১১৪ জন এবং সেপ্টেম্বর মাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬০১ জন।  এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের।  

ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গগুলো দেখা দিলে অতি দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী।  

তিনি বলেন, ডেঙ্গু জ্বর হলে খাবারের প্রতিও বিশেষভাবে মনযোগী হতে হবে। এছাড়া সবার আগে সচেতনতা প্রয়োজন। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে আরও যত্নবান হওয়া জরুরি। যেকোনও সময় ঘুমাতে গেলে অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হবে। আর লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২৩
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।