ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ফয়’স লেকে বেসক্যাম্পের যাত্রা শুরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩
ফয়’স লেকে বেসক্যাম্পের যাত্রা শুরু ...

চট্টগ্রাম: খোলা আকাশ, সবুজ পাহাড়, নীল জলের হ্রদ মিলে অপরূপ ফয়’স লেকে যাত্রা শুরু হলো বেসক্যাম্পের। এতে রয়েছে কায়াকিং, আর্চারি, ক্রাইম্বিং ওয়াল, উড কেবিন,  ট্রি টপ অ্যাক্টিভিটি, অন গ্রাউন্ড অ্যাক্টিভিটি, টিম বিল্ডিং গেম, হিউম্যান ফুসবল।

 

ক্যাম্পে চমকপ্রদ হচ্ছে জিপ লাইন। আছে ওয়াটার জিপ লাইন, জায়েন্ট সুইং, স্মল সুইং, জায়ান্ট হ্যামক ইত্যাদি।

শিগগির যুক্ত হবে মাড ট্রেইল, পেইন্ট বল ইত্যাদি অ্যাডভেঞ্চার অ্যাক্টিভিটি। গ্রুপ ক্যাম্পিং, নাইট ট্রেইল, ট্রেজার হান্টের মতো রোমাঞ্চকর অ্যাক্টিভিটির ব্যবস্থা আছে।  

রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে ফয়’স লেক বেস ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন  অতিথিরা।

বেসক্যাম্প অ্যাডভেঞ্চার লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাহবুব জামান বলেন, আমরা বিশ্বাস করি প্রত্যেকের ভেতর টাইগার আছে। আমরা যুদ্ধ করেছি পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে। অমিত শক্তি সবার আছে। সব বয়সের মানুষকে আকর্ষণ করেছে ফ্যান্টাসি কিংডম। আমরা ট্যুরিজমে ভিন্নতা আনতে চাই। অ্যাক্টিভিটি দিতে চাই। ট্যুরিজমকে ছড়িয়ে দিতে চাই সারা দেশে। ফয়’স লেক বেসক্যাম্প নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে দেবে। চট্টগ্রাম উজ্জ্বল অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছে। যুবক কিশোরদের নতুন পথ দেখানো সম্ভব হবে। সমগ্র দেশকে নতুন আলো দিতে পারবে। সেলফ স্টিম দেবে। টিম বিল্ডিং করবে। আমরা মাত্র শুরু করেছি। অনেক দূর যেতে পারব আশা করি।  

কনকর্ড গ্রুপের এমডি শাহরিয়ার কামাল বলেন, আমাদের ১৪টি কোম্পানি আছে। সাভারে স্মৃতিসৌধ করেছে কনকর্ড। বাংলাদেশের প্রথম রেডিমিক্স ইট কনকর্ড করে। পর্যটন সেবায় দেশের প্রথম থিমপার্ক করেছে। ২০০৪ সালে ফয়’স লেকের যাত্রা শুরু। আজ যৌথভাবে বেসক্যাম্পের যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছি। এটি থাইল্যান্ড সিঙ্গাপুরের বেসক্যাম্পের চেয়ে কম হবে না।

কনকর্ড গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক অনুপ সরকার বলেন, ফয়’স লেকের দর্শকদের ভিন্নধর্মী বিনোদন দিতে বেসক্যাম্প। বিনোদনে নতুন মাত্রা যোগ করতে এ আয়োজন। এখন পর্যটন শিল্পের মূল আকর্ষণ অ্যাডভেঞ্চার। এখানে রাত যাপনের তাঁবু আছে।  

বেসক্যাম্প অ্যাডভেঞ্চার লিমিটেডের এমডি তামজীব সিদ্দিক স্পন্দন বলেন, মানুষ যত সভ্য হচ্ছে সে নিজেকে চিনতে চায়। আমাদের লোগোতে বাঘের মাথা আছে। আমরা মনে করি প্রত্যেকের ভেতর অমিত শক্তি আছে। আমরা চাই মানুষ তাঁবুতে থাকবে। নাইট সাফারি করবে। মানুষ যখন নিজের শক্তি সম্পর্কে জানতে পারে, তখন পৃথিবী বদলে দিতে পারে।

‘আমরা বেসক্যাম্পের জন্য একটি গাছও কাটিনি। যতটা কম ইট পাথর ব্যবহার করেছি। আমাদের সব গিয়ার, হ্যালমেট ফ্রান্স থেকে এনেছি। ফিজিক্যালি ফিট মানুষই বেসক্যাম্প অ্যাক্টিভিটি করতে পারবে। আমরা ট্রেইনার রেখেছি ভয় কাটিয়ে মানুষ যাতে অংশ নিতে পারে। গর্ভবতীরা অংশ নিতে পারবেন না। নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া সিগারেট অ্যালাউ না’।  

মাউন্টেনিয়ার ডা. বাবর আলী বলেন, যা আছে বাংলাদেশে তা আছে চট্টগ্রামে। নদী, ঝরনা, পাহাড়, লেক আছে এখানে। আমার শহরে বেসক্যাম্প হয়েছে এটা আনন্দের। এখানে কায়াক আছে। ইয়াংরা এখানে আসবে। এটাকে বেস করে নিজেদের অ্যাডভেঞ্চার যাত্রা শুরু করতে পারবে। পরিবেশ দূষণ না করে থিম পার্ক করায় ধন্যবাদ জানাই। গাজীপুরে, বান্দরবানে বেসক্যাম্প আছে। এখন চট্টগ্রামে যাত্রা শুরু হলো।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়, নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। নিরাপত্তা কর্মীর পাশাপাশি আধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে। সকাল দশটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা জনপ্রতি তিন হাজার টাকা। দেড়শ, চারশ, আটশ টাকার রাইড আছে। রাতযাপন হবে তাঁবুতে। থাকা যাবে এসি রুমে।

বাংলাদেশ সময়:  ১৩০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।