ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কয়লা খালাসের পর ফিরলো মাতারবাড়ীতে আসা বড় জাহাজটি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫১ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২৩
কয়লা খালাসের পর ফিরলো মাতারবাড়ীতে আসা বড় জাহাজটি ...

চট্টগ্রাম: মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দরে প্রথম কয়লা নিয়ে আসা দেশের সবচেয়ে বড় জাহাজ ‘অউসো মারো’ (OWUSU MARU) কয়লা খালাস শেষে ফিরে গেছে। বাংলাদেশের মেরিটাইম সেক্টরে জাহাজটি রেকর্ড গড়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার তারহান বন্দর থেকে ৬৩ হাজার টন কয়লা নিয়ে এসেছিল মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য। শিগগির প্রকল্পটিতে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
 

রোববার (৭ মে) সকাল ৯টা ৪২ মিনিটে জাহাজটি মাতারবাড়ী জেটি ছেড়ে যায়। এ সময় চট্টগ্রাম বন্দরের অভিজ্ঞ পাইলটেজ টিম জাহাজটি পরিচালনা করে। এ টিমে ছিলেন ক্যাপ্টেন শামসুদ্দিন, ক্যাপ্টেন কামরুল, ক্যাপ্টেন মাসুদ ও ক্যাপ্টেন ইরফান। চট্টগ্রাম বন্দরের শক্তিশালী টাগ কাণ্ডারী ৪ ও ১২ জাহাজটিকে জেটি ও ব্রেক ওয়াটারের কৃত্রিম চ্যানেল পাড়ি দিতে সহায়তা করে।  

গত ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ২২৯ মিটার দীর্ঘ ও ১২ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফট’র (জাহাজের পানির নিচের গভীরতা) পানামার পতাকাবাহী এমভি ‘অউসো মারো’ মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দরের বহির্নোঙরে আসে। পরদিন মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে জাহাজটি বিশেষ নজরদারির মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে আনা হয়। জাহাজটি বহির্নোঙর থেকে আনার সময় পাইলটেজ টিমে ছিলেন বন্দরের সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন) কমডোর ফজলর রহমান, ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপটেন ফরিদুল আলম, ক্যাপটেন জহির, মেইন পাইলট ক্যাপ্টেন কামরুল এবং কো পাইলট ক্যাপ্টেন শামস।  

চট্টগ্রাম বন্দরের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, মাতারবাড়ী বাংলাদেশের মেরিটাইম সেক্টরের নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছে। নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির। সমুদ্র থেকে ১৪ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৩৫০ মিটার চওড়া কৃত্রিম চ্যানেলের মধ্য দিয়ে এত বড় একটি জাহাজটি ৬৩ হাজার টন পণ্য নিয়ে সফলভাবে ভিড়েছে, জেটির ক্রেন দিয়ে পণ্য খালাস করেছে এবং সফলভাবে বাংলাদেশ ছেড়ে গেছে। এটি নিঃসন্দেহে নতুন ইতিহাস। এখন একের পর এক জাহাজ আসবে কয়লা নিয়ে।  

কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিপিজিসিবিএল) অধীনে জাপানের তিনটি প্রতিষ্ঠানের একটি কনসোর্টিয়াম বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে। এই প্রকল্পের আওতায় ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি স্টিম টারবাইন, সার্কুলেটিং কুলিং ওয়াটার স্টেশন স্থাপন, ২৭৫ মিটার উচ্চতার চিমনি ও পানি শোধন ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের অধীনে মাতারবাড়ী সমুদ্র বন্দরের প্রকল্পের আওতায় ৩০০ মিটার দীর্ঘ একটি মাল্টিপারপাস জেটি এবং ৪৬০ মিটার দীর্ঘ একটি কনটেইনার জেটি নির্মিত হবে। এ বন্দর ও কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং সমুদ্রবন্দরকে ঘিরে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।