চট্টগ্রাম: বিল্ডিং কোড না মেনে স্থাপনা নির্মাণ নগরের জলাবদ্ধতা অন্যতম কারণ বলে মন্তব্য করেছেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, আমি সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখেছি বেশ কিছু ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোডগুলো তারা মানেনি।
কারণ প্রাইমারি ড্রেনেজ সিস্টেম নালাগুলো আমাদের ক্লিন রাখতে হবে। দ্যাট ইজ ভেরি ইম্পরট্যান্ট। কিছু এলাকায় পানি উঠছে তবে পানি আমি যতদূর দেখছি যে আগের মতো যেভাবে সারাদিন পানি জমে থাকতো এটা থাকছে না। এটা দেড় দুই ঘণ্টা বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার পর পানিটা চলে যাচ্ছে। তারপরেও আমি চাই যে এখানে যে সার্ভিস ড্রেনগুলো আছে সেগুলো আমরা ক্লিন রাখবো। আমার যে প্যানেল এক্সপার্ট আছে তারাও আসবে। এসে এই কাজটা আমরা দ্রুত শুরু করব।
সোমবার (২৮ জুলাই) নগরে ভারীবর্ষণ চলাকালে বিভিন্ন জলাবদ্ধতাপ্রবণ এলাকা পরিদর্শনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।
চকবাজার, কাতালগঞ্জ, জিইসি, পাঁচলাইশ, ওয়াসা, বাকলিয়া ও লালখানবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন মেয়র। এ সময় জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
পরিদর্শনকালে মেয়র স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ও ভোগান্তির কথা শোনেন এবং বলেন, জলাবদ্ধতা চট্টগ্রাম নগরের দীর্ঘদিনের সমস্যা। এই কাতালগঞ্জ সড়কের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীদের নির্দেশ দিয়েছি অবিলম্বে ড্রেনেজ সিস্টেম সংস্কার করে পানি চলাচলের পথ উন্মুক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, শুধু সাময়িক নয়, আমরা স্থায়ী সমাধানের দিকেই এগোচ্ছি। নগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে চসিক সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
পরিদর্শনকালে তিনি ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে লিফলেট বিতরণ করেন এবং মাইকিং কার্যক্রম তদারকি করেন। পরিদর্শনের অংশ হিসেবে বাটালি পাহাড়সংলগ্ন ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারী তিনটি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।
মেয়র জানান, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। একই সঙ্গে জনসাধারণকে সচেতন করতে নিয়মিত প্রচার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
এআর/পিডি/টিসি