চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত ৩২৭ কিলোমিটার রেলপথ দুই লেইনে উন্নীত হয়েছে।
এর ফলে নিরবচ্ছিন্ন ট্রেন পরিচালনা করা যাবে এবং ট্রেনের গতি বৃদ্ধির পাশাপাশি ট্রেনের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ২০০৬-২০১৮ সাল পর্যন্ত ১২ বছরে টঙ্গী থেকে ভৈরব বাজার পর্যন্ত ৬৪ কিলোমিটার রেলপথ দুই লেইনে উন্নীত করা হয়। ২০১৮ সালে লাকসাম থেকে মীরসরাইয়ের চিনকি আস্তানা পর্যন্ত ৬১ কিলোমিটার রেলপথ দুই লেইনে উন্নীত করা হয়।
২০১৪ সালে ৬,৫০৪.৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত দুই লেইন রেলপথ নির্মাণ এবং বিদ্যমান রেল লাইনকে দুই লেইনে রূপান্তরের কাজ শুরু হয়। এই প্রকল্পে এডিবি প্রায় ৫,৪৭৭.৮৮ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। ২০২০ সালের জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নানান জটিলতা ও প্রকল্পের পরিধি বৃদ্ধির কারণে মেয়াদ গত জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. সুবক্তগীন বলেন, প্রকল্পের মূল কাজ শেষ হয়ে গেলেও লুপ লাইনের কিছু কাজ বাকি রয়েছে। পাশাপাশি ঠিকাদারের এক বছর ডিফেক্ট লায়াবিলিটি ধরে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে মেয়াদ বাড়লেও প্রকল্পের ব্যয় বাড়বে না। প্রকল্পের আওতায় ১৪৪ কিলোমিটার মেইন লাইনের পাশাপাশি ৪০.৬০ কিলোমিটার লুপ ও সাইড লাইন নির্মাণ, ১৩টি মেজর সেতু, ৪৬টি মাইনর সেতু ও ১১টি স্টেশনের ভবন নির্মাণ ও সিগন্যালিং ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ৩২৭ কিলোমিটার রেল লাইনের পুরোটাই দুই লেইনে উন্নীত হওয়ার ফলে ট্রেন পরিচালনার সক্ষমতা ৩৬ জোড়া থেকে বেড়ে ৭২ জোড়া হবে। দুই লেইন চালু হলে একটি ট্রেনের ক্রসিং দিতে অন্য ট্রেনকে কোনো স্টেশনে বসে থাকতে হবে না। এতে ট্রেনের গতি বৃদ্ধির মাধ্যমে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের সময় ও ব্যয় কমবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২৩
বিই/টিসি