ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মীরসরাইতে ‘সহিংস আচরণ’নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২৪
মীরসরাইতে ‘সহিংস আচরণ’নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনে

চট্টগ্রাম: মীরসরাইয়ের ৬ নম্বর ইছাখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও অর্থঋণ আদালতের যুগ্ম জেলা জজ মুজাহিদুর রহমান। একই সঙ্গে ফৌজদারী অপরাধ সংঘটনের দায়ে প্রচলিত আইন মামলা দায়ের করা যেতে পারে বলেও অভিমত দিয়েছেন তিনি।

 

বুধবার (৩ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠানো প্রতিবেদনে তিনি এ সুপারিশ ও অভিমত দেন। বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম।

 

সূত্র জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের সমর্থক ও অনুসারীরা জোরারগঞ্জ থানার ৬ নম্বর ইউনিয়নের ৯ নম্বর চরশরত এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে প্রতীক ভাংচুর, পোস্টার ছেঁড়া ও কর্মী-সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ করেন মাহবুব রহমান রুহেল।  

এর প্রেক্ষিতে ২ জানুয়ারি দুপুর ১২টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি জানতে পারেন, ওই দিন সন্ধ্যার পর স্বতন্ত্র প্রার্থী কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ঘটনাস্থলের আশপাশে জনসংযোগ করেন। তিনি মিছিল নিয়ে ঘটনাস্থল অতিক্রমের সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রুহেলের নির্বাচনী ক্যাম্পে উপস্থিত সমর্থকদের উদ্দেশে উসকানিমূলক বাক্য বিনিময় করেন এবং নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখান। একপর্যায়ে মিছিলের পেছনে থাকা কিছু উৎসাহী সমর্থক নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সবুজ চন্দ্র দাশ, আকাশ রায়কে শারীরিকভাবে আঘাত করে। এ ঘটনায় স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে ভয়ভীতি সঞ্চার হয় যা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর ১১ (ক) ধারার পরিপন্থী।  

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান সরেজমিন ঘটনাস্থলে দেখেন ৬ নম্বর ইছাখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চরশরত এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী এবং দরিদ্র জেলে ও কৃষক। উল্লিখিত ঘটনার কারণে এই প্রান্তিক শ্রেণির ভোটাররা নির্বাচন পরবর্তী নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা করছেন। তারা ভোটদানে বিরত থাকার আশঙ্কা রয়েছে।  

লাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।