ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পশুর হাট জমজমাট

সোহেল সরওয়ার, সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১২ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৪
পশুর হাট জমজমাট ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা সোমবার (১৭ জুন)। তাই কোরবানি উপলক্ষে চসিক অনুমোদিত নগরের ১০টি ও বিভিন্ন উপজেলার পশুর হাটগুলো জমে উঠছে।

দূর-দূরান্ত থেকে বেপারী, খামার মালিক ও গৃহস্থরা গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া, গয়াল এনেছেন পশুর হাটে।

নগরের হাটগুলোতে মাগুরা, সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, ফরিদপুর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুমিল্লা, নাটোরসহ অন্যান্য এলাকা থেকে গরু এনেছেন বেপারিরা।

আছে চট্টগ্রামের হাটহাজারী, পটিয়া, আনোয়ারা ও বাঁশখালী থেকে নিয়ে আসা গরুও। স্থানীয় বিভিন্ন খামারে হৃষ্টপুষ্ট প্রচুর গরুও আনা হয়েছে বিক্রির জন্য।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় বসা হাটের মধ্যে স্থায়ী তিনটি হচ্ছে- সাগরিকা পশুর বাজার, বিবিরহাট গরুর হাট ও পোস্তারপাড় ছাগলের বাজার। অস্থায়ী হাটগুলো হচ্ছে- মধ্যম হালিশহর মুনির নগর আনন্দ বাজার সংলগ্ন রিং রোডের পাশে খালি জায়গা, মোহরা ওয়ার্ডের জানালী রেল স্টেশন সংলগ্ন রেলওয়ের পরিত্যক্ত খালি জায়গা, কর্ণফুলী পশুর বাজার, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টিকে গ্রুপের খালি মাঠ, ৪০ নম্বর উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডের পূর্ব হোসেন আহম্মদ পাড়া সাইলো রোডের পাশে টিএসপি মাঠ ও একই ওয়ার্ডের মুসলিমাবাদ রোডের সিআইপি জসিমের খালি মাঠ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বড়পোল সংলগ্ন গোডাউনের পরিত্যক্ত মাঠ, ৩নং পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের ওয়াজেদিয়া মোড় এবং ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের আউটার রিং রোডস্থ সিডিএ বালুর মাঠ।

সাগরিকা ও নুর নগর হাউজিং এস্টেট এলাকার কর্ণফুলী পশুর বাজারে ৫০ কোটি টাকা ডিজিটাল লেনদেনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরাসরি হাট থেকে কোরবানির পশু নগদ টাকায় কিনতে হয়। এতে টাকার নিরাপত্তা নিয়ে অনেকে ভয়ে থাকেন। এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে এ দুটি পশুর হাটে নগদবিহীন লেনদেনের উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসব হাটে নগদ টাকার পরিবর্তে কার্ড কিংবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করে পশু কেনা যাচ্ছে।  

ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা বলছেন, শহরে কোরবানি ঈদের দুদিন আগে থেকে বেচাকেনা হয়ে থাকে। কারণ, গ্রামের মতো পশু রাখার জায়গা নেই নগরে। এ সময়ে কোরবানির পশু রাখা একটি বড় সমস্যা। তারা আশাবাদী, এখন বিক্রি কম হলেও যারা কেনার তারা ঠিকই কিনে নেবেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, চট্টগ্রামের খামারগুলোতে যে পরিমাণ পশু আছে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। এবার পশুর সম্ভাব্য চাহিদা ৮ লাখ ৮৫ হাজার। এর বিপরীতে কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে ৮ লাখ ৫২ হাজার।  

১৭টি বড় আকারের গরু নিয়ে কর্ণফুলী পশুর হাটে এসেছেন বগুড়ার বেপারি আবদুল হালিম শেখ। তিনি জানান, কয়েক বছর ধরেই এই হাটে গরু নিয়ে আসেন তিনি। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন বেপারি এসেছেন গরু নিয়ে। তার প্রতিটি গরু ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রির আশা করছেন তিনি।

কর্ণফুলী নদীর ওপারে মইজ্জারটেক, বুড়িশ্চর-মোহরা, কর্ণফুলী, হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি, মীরসরাই, পটিয়া, বোয়ালখালী, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, আনোয়ারা, বাঁশখালী ও সন্দ্বীপের পশুর হাটগুলোতে কোরবানির বেচাকেনা চলছে। অনলাইন, ফেসবুকের মাধ্যমেও গরু বিক্রি করছেন অনেকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৪ 
এসএস/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।