ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ ভাদ্র ১৪৩১, ২২ আগস্ট ২০২৪, ১৬ সফর ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চমেক অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবির সঙ্গে একাত্মতা সারজিস-হাসনাতের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২৪
চমেক অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবির সঙ্গে একাত্মতা সারজিস-হাসনাতের

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের (চমেক) অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তারের পদত্যাগের দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কেন্দ্রীয় দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ।  

বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে চমেক হাসপাতালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের দেখতে আসেন তারা।

পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ দেন। এসময় তারা চমেক অধ্যক্ষ এই পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।
 

কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, তারা মনে করেছেন, যদি আওয়ামী লীগের পা চাটতে পারেন, তাহলে পদোন্নতি হবে। যেসব শিক্ষক, যেসব উপাচার্য, যেসব প্রতিষ্ঠান প্রধান ওই সময়ে সরকারের পা চেটেছে, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে গিয়েছে, তাদের ওই পদগুলোতে থাকার কোনো অধিকার নেই। আপনারা শিক্ষকতার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছেন। আমরা দেখেছি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধরতে শিক্ষকরা ছাত্রলীগকে তালিকা দিয়েছে, পুলিশকে তালিকা দিয়েছে। ছাত্রলীগ যেভাবে বাংলাদেশ থেকে উৎখাত হয়েছে, সেসব শিক্ষকদের বাংলাদেশ থেকে সেভাবে উচ্ছেদ করতে হবে।  

আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, তিনি একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান। শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, সেই জায়গায় তিনি যদি সেই দায়িত্ব পালন করতে না পারেন। তাহলে তার যদি ন্যুনতম ব্যক্তিত্ব থাকে, ন্যুনতম লজ্জা থাকে, ন্যুনতম দায়বদ্ধতা থাকে ওই পদটি ছেড়ে দেওয়া উচিত। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে। আমাদের স্পষ্ট  কথা, একটি রাজনৈতিক দলের তোষামদকারী পদলেহন করা একজন এজেন্টের এত বড় একটি প্রতিষ্ঠানের দায়বদ্ধতা নেওয়ার যোগ্যতা নেই। উনি উনার জায়গা থেকে পদত্যাগ করার পূর্ব পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে আসতে পারবেন না। শুধু একবারের জন্য আসবেন পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করতে। এটার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে যা করার দরকার আমরা সেটাই করবো।

এর আগে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এই দুই সমন্বয়ক।  

এ সময় সরাজিস আলম বলেন, বিগতে ১৬ বছর ধরে যে মানুষরা একটি কথা বলারও সাহস করেনি। বিগত ৫৩ বছরে যারা রাস্তায় নামার সাহস করেনি। সেই তারা চান একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হওয়ার সাথে সাথে ১৬ দিনের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাক। এই মানুষগুলো তাদের ব্যক্তিগত ও ছোট্ট একটি উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য রাজপথে নামছে। সচিবালয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঘেরাও করছে। আমরা মনে করি, এত বড় ক্ষতপূর্ণ রাষ্ট্রের সংশোধনের জন্য যে সময় প্রয়োজন। সেই সময়টুকু না দিয়ে তারা তাদের জায়গা থেকে এই ব্লকেডগুলো করে রাষ্ট্রের স্থীতিশীল অবস্থা হওয়ার জন্য যে ফ্লো দরকার তাতে বাধা দিচ্ছে এবং তাদের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে।  

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন,  একটি দুঃখজনক বিষয় লক্ষ্মীপুর নোয়াখালী, ফেনীতে বন্যার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে রয়েছি। যেখানে পাশ্ববর্তী দেশ আমাদের সহায়তা করার কথা, সেখানে তারা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আপনারা ব্যারিকেডটি খুলে দিয়ে বাংলাদেশে পানি প্রবেশ করতে দিলেন। অন্যদিকে তিস্তাতে পানি সংকটে সেখানে চাষাবাদ করা যায় না। আমাদের যখন পানির প্রয়োজন আপনারা তখন পানি দিচ্ছেন না। আর যখন পানির প্রয়োজন নেই আপনারা বাঁধগুলো খুলে দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে সংকটের মধ্যে ফেলেন। যারা আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের সংস্কারকে বাধা দিতে চায় তাদেরকে আমরা ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে চিহ্নিত করতে চাই।  দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান বন্যা আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ান।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২৪
এমআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।