চট্টগ্রাম: গত এক বছরে চট্টগ্রামে এইডস আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪ জন। এছাড়া এ রোগে মারা গেছেন ১১ জন।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের অ্যান্টি রিক্টোভাইরাল থেরাপি সেন্টার (এআরটি) সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সেন্টারটিতে সর্বমোট ৩ হাজার ৮১৭ জনের এইচআইভি পরীক্ষা করা হয়।
এআরটি সূত্রে আরও জানা যায়, ২০২৩ সালে এইচআইভি সংক্রমণে আক্রান্ত রোগী ছিল ৫৮ জন এবং মারা যান ২৭ জন। গত এক বছরে বান্দরবানে ১ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ জন, চট্টগ্রাম শহরে ৩৯ জন, কুমিল্লায় ৪ জন, ফেনীতে ৬ জন, নোয়াখালীতে ১০ জন, কক্সবাজারে ৬ জন, খাগড়াছড়িতে ৭ জন, রাঙামাটিতে ৩ জন সহ কয়েকটি জেলায় আরও ৭ জনের এইচআইভি পজিটিভ পাওয়া যায়।
দেশে ১৯৮৯ সালে এক ব্যক্তির এইচআইভি শনাক্ত হয়। হাঁচি, কাশি বা থুতুর মাধ্যমে, একই পাত্রে খাবার বা পানি খেলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নেই। এমনকি একসঙ্গে ওঠাবসা, খেলাধুলা বা স্পর্শ করলে, হাত মেলালে, জড়িয়ে ধরলে রোগটি ছড়ায় না। তবে এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ করলে, আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত সুচ-সিরিঞ্জ ব্যবহার করলে, আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করলে এইচআইভি ভাইরাস ছড়ায়। এ ছাড়া মা থেকে গর্ভাবস্থায় প্রসবের সময় অথবা বুকের দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে সন্তান আক্রান্ত হয়।
আক্রান্ত বাড়লেও মৃত্যুহার কম হাওয়াকে ইতিবাচক মনে করছেন চমেক হাসপাতালের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ডা. জুনায়েদ মাহমুদ খান।
তিনি বলেন, এইডস একসময় মরণব্যাধি হলেও বর্তমানে এ রোগের চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে একজন লোক প্রায় স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধেকের বেশি কমেছে। যা বেশ ইতিবাচক। নিয়মিত ওষুধ সেবন এবং ফলোআপ করলে এখন এ রোগ নিয়েও সুস্থ থাকা যায়।
ডা. জুনায়েদ মাহমুদ আরও বলেন, আক্রান্তের মধ্যে অধিকাংশই হচ্ছেন প্রবাসী এবং তাদের স্বজন। প্রবাসীদের অসচেতনতায় তাদের স্ত্রীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন এইচআইভি ভাইরাসে। যার কারণে রেহাই পাচ্ছে না শিশুরাও। যারা জন্মসূত্রেই আক্রান্ত হয়েছে এই রোগে। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসব ব্যক্তির মাঝে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২৪
এমআর/টিসি