ঢাকা, রবিবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২, ২২ জুন ২০২৫, ২৫ জিলহজ ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

করোনা চিকিৎসায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি: মেয়র শাহাদাত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:১৫, জুন ২১, ২০২৫
করোনা চিকিৎসায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি: মেয়র শাহাদাত

চট্টগ্রাম: আমরা করোনা রোগীর চিকিৎসায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, মা ও শিশু হাসপাতাল, ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে এন্টিজেন ও আরটিপিসিআর টেস্টের ব্যবস্থা রয়েছে।

যারা এখনও টিকা নেননি, তারা দ্রুত বুস্টার ডোজ নিয়ে নিন।  

শনিবার (২১ জুন) বুদ্ধ জয়ন্তী উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে নগরের সাফা আর্কেড কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো রোগ প্রতিরোধে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যত্রতত্র ডাবের খোসা বা প্লাস্টিক-পরিত্যক্ত সামগ্রী ফেলে পানি জমতে দেওয়া যাবে না। জমে থাকা পানিই ডেঙ্গুর উৎস। নাগরিকদের সতর্ক থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডা. কিসিঞ্জার চাকমা এবং সঞ্চালনায় ছিলেন রোমেলা বড়ুয়া।

উপস্থিত ছিলেন ডা. প্রীতি বড়ুয়া, জয়সেন বড়ুয়া, দীপন কান্তি বড়ুয়া, লিটন বড়ুয়া, দেবজিৎ বড়ুয়া, রিপন কুমার বড়ুয়া, সুজন বড়ুয়া, কাজল বড়ুয়া, পরিতোষ বড়ুয়া, পীযুস বড়ুয়া প্রমুখ।

মেয়র বলেন, গৌতম বুদ্ধ আমাদের অহিংসা, সহনশীলতা ও মৈত্রীর পথ দেখিয়েছেন। আজকের সমাজে এই মূল্যবোধগুলো ধারণ করাই সবচেয়ে জরুরি। আমি যখন চসিকের দায়িত্ব নিই, তখন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম—চট্টগ্রামকে ক্লিন সিটি, গ্রিন সিটি, হেলদি সিটি ও সেফ সিটিতে রূপান্তর করবো। শুধু অবকাঠামো নয়, নাগরিকদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সহনশীলতা গড়ে তুলেই একটি নিরাপদ নগর গঠন সম্ভব।

মেয়র বলেন, বুদ্ধ পূর্ণিমা আমাদের কাছে কেবল একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি একটি মানবিক উপলক্ষ। এই শহর সকল ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায়ের জন্য নিরাপদ হবে—এটাই আমাদের অঙ্গীকার।

আমরা একটি এমন সমাজ চাই যেখানে থাকবে না কোনো বিভেদ, বিদ্বেষ কিংবা হিংসা। যেখানে সবাই শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করবে—এটাই প্রকৃত উন্নত নগরের চিত্র।

জাতীয়তাবাদের প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, এক সময় জাতীয়তাবাদ কেবল বাঙালিকেন্দ্রিক ছিল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এই কাঠামো ভেঙে সব জাতিগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ধারা প্রতিষ্ঠা করেন। আজ আমরা সেই ঐক্যের পথেই এগিয়ে যাচ্ছি। সব সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণেই গড়ে উঠবে একটি শক্তিশালী, মানবিক বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, আমি আশ্বাস দিতে আসিনি—আমি কাজ করতে এসেছি। চাই না, এই শহরের একজন নাগরিকও যেন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। আসুন, আমরা সবাই মিলে একটি শান্তিপূর্ণ, মানবিক ও উন্নত নগর গড়ে তুলি।

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।