ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিএনপির নেতৃত্বে জেগে উঠবে বাংলাদেশ: ডা.শাহাদাত

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:০৫, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫
বিএনপির নেতৃত্বে জেগে উঠবে বাংলাদেশ: ডা.শাহাদাত ...

চট্টগ্রাম: আগামী নির্বাচনে জনগণের সমর্থন নিয়ে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতায় যাবে উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল বিএনপি। আগামীতে বিএনপির নেতৃত্বে নতুন করে জেগে উঠবে বাংলাদেশ।

বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরের ষোলশহর ২ নম্বর গেইটস্থ বিপ্লব উদ্যানের শহীদ জিয়ার স্মৃতি বিজড়িত বিপ্লব বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ১৯৭৮ সালের এই দিনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

১৯ দফা কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে চলা বিএনপি পরের বছরই জয়ী হয় সংসদ নির্বাচনে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে চারবার রাষ্ট্র পরিচালনা করে বিএনপি। বিএনপি যেমন অতীতে মানুষের কাছে সমাদৃত হয়েছে, সেভাবেই সমাদৃত হওয়ার জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। নেতাকর্মীদের আদর্শ রাজনৈতিক কর্মী হতে হবে। শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে, এদেশের উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। সেজন্য জিয়াউর রহমানকে এদেশের জনগণ গ্রহণ করেছে।  

‘১৯৮১ সালে বিপথগামী একদল সেনা সদস্যের হাতে তিনি নিহত হলে বিএনপির হাল ধরেন বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর নেতৃত্বে তিনবার সরকার গঠন করে বিএনপি। ২০০৭ সালের জরুরি অবস্থার পর কঠিন রাজনেতিক সংকটের মুখোমুখি হয় বিএনপি। টানা দেড় দশক আওয়ামী লীগ দমন পীড়ন চালায় বিএনপির উপর। মিথ্যা মামলায় দুই বছর বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রাখে। কিন্তু গণতন্ত্রের প্রশ্নে বিএনপি কখনোই আপস করেনি’।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত আরও বলেন, জনগণের কাছে প্রদত্ত অঙ্গীকার থেকে বিএনপি কখনো পিছিয়ে আসেনি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণা থেকে শুরু করে পরবর্তীতে শহিদ জিয়ার রাজনৈতিক দল গঠন, রাষ্ট্র পরিচালনা, সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থায় ফিরে আসা এবং ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত গণতন্ত্রের প্রশ্নে বিএনপি কখনো মাথানত করেনি। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন করে উজ্জীবিত হয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার অপেক্ষায় এখন পুরো দেশ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি জাহিদুল করিম কচি, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হারুন জামান, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহবায়ক কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর বিএনপি নেতা হাজী মো. আলী, ইয়াসিন চৌধুরী আসু, ডা. এস এম সারোয়ার আলম, হাজী নুরুল আকতার, আলহাজ্ব জাকির হোসেন, সালাউদ্দীন কায়সার লাভু, মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জমির উদ্দিন নাহিদ, বিএনপি নেতা হাজী নবাব খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, আবদুল্লাহ আল ছগির, আলাউদ্দীন আলী নুর, নুরুল ইসলাম খন্দকার, সাব্বির আহমেদ, এম এ হালিম বাবলু, সাদেকুর রহমান রিপন, হাসান উসমান চৌধুরী, আবু ফয়েজ, ফিরোজ খান, আলী আজগর, জাহেদুল হক জাকু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্ম আহবায়ক মহসিন কবির আপেল, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সামিয়াত আমিন জিসান ও  সালাউদ্দীন কাদের আসাদ প্রমুখ।  

এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।