ঢাকা, বুধবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩২, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ রবিউস সানি ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

খালের জায়গা দখল, এমনকি খালের মাঝেই ভবন হয়েছে: মেয়র শাহাদাত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:৫৮, অক্টোবর ৭, ২০২৫
খালের জায়গা দখল, এমনকি খালের মাঝেই ভবন হয়েছে: মেয়র শাহাদাত

চট্টগ্রাম: খালের জায়গা দখল হয়ে গেছে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, এমনকি অনেক ক্ষেত্রে খালের মাঝেই ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এতে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে।

জনগণের দুর্ভোগ কমানোর স্বার্থে যদি কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকে, তা অপসারণ করতে আমরা বাধ্য হবো। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো নাগরিকদের জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে মুক্ত করা।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সার্বিক সহযোগিতা এবং মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি আলিফ উদ্দিন রুবেলের ব্যক্তিগত অর্থায়নে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে টাইগারপাসের নাছির খালের খনন ও পরিচ্ছন্নতা কাজের উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।  

মেয়র বলেন, আমার বর্তমান মূল ফোকাস হচ্ছে নগরের জলাবদ্ধতা কমানো, বিশেষ করে নিচু এলাকাগুলোতে। আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর জলাবদ্ধতা প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে। এবারের বর্ষায় চট্টগ্রামবাসী আগের বছরের তুলনায় স্বস্তির মুখ দেখেছে। চলমান প্রকল্পগুলো সম্পন্ন হলে আগামী বছর জলাবদ্ধতা নিরসনে আরও বড় পরিবর্তন দেখা যাবে।  

একসময় চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা ছিল এক অভিশাপ। এখন আমরা প্রায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি অংশের সমাধানে খাল খনন, ড্রেন সংস্কার ও স্লুইসগেট নির্মাণের কাজ চলছে। আগামী বর্ষার আগেই নগরবাসী পরিবর্তনের বাস্তব চিত্র দেখতে পাবেন।

শুধু খাল খনন করলেই জলাবদ্ধতা দূর হবে না। নাগরিকদের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের অনেকের মনের মধ্যে ডাস্টবিনে ময়লা ফেলার সংস্কৃতি নেই। যত্রতত্র ময়লা, বিশেষ করে পলিথিন ও প্লাস্টিকজাত বর্জ্য খালে ফেলা বন্ধ করতে হবে। এগুলো অপচনশীল, ফলে খালের তলদেশে স্তর জমে পানি প্রবাহ বন্ধ করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি আবু বক্কর, ইয়াকুব আলী সিফাত, গাজী শওকত, নজরুল ইসলাম, মহানগর যুবদল নেতা মো. জাবেদ, আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমুখ।  

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।