চট্টগ্রাম: নগরের সিইপিজেডের কারখানায় অ্যাডামস ক্যাপ কারখানাটিতে আগুনের তীব্রতা বাড়ার আগেই শ্রমিকেরা নিরাপদে বের হয়েছেন। ইউএসএ বেইজড এ কারখানায় ৭০০ শ্রমিক কাজ করতেন।
বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক আবদুস সোবহান।
তিনি বলেন, ভবনের সপ্তম তলা থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। যেহেতু কারখানাটি আধুনিক ও ফায়ার সেফটি ইক্যুইপমেন্ট ছিল তাই কর্মকর্তারা দ্রুত এবং নিরাপদে সব শ্রমিককে বের করে দিতে সক্ষম হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তিনি জানান, ভবনের নিচতলায় তৈরি পণ্যের গুদাম ছিল। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তলায় শ্রমিকরা কাজ করতেন। চতুর্থ থেকে সপ্তম তলায় গাউন তৈরির এক্সেসরিজ ছিল।
সিইপিজেডের একটি কারখানার মালিক জিন্নাহ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম ইপিজেডে আমি ৩৩ বছর কাজ করছি। এ রকম ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড আর কখনো দেখিনি। সিইপিজেড চট্টগ্রাম পাঁচ নম্বর সেক্টরের কারখানায় লাগা আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সপ্তম তলা থেকে পুড়তে পুড়তে পঞ্চম তলায় এসেছে। পাশের কারখানাগুলো আছে আতঙ্কে।
ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা গেছে, নগরের ৭টি ফায়ার স্টেশনের ১৯টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করছে। সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর ফায়ার ইউনিট এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
নৌবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, আগুনের সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন জানান, চতুর্দিকে বৈদ্যুতিক তার আছে। বিভিন্ন বাধা আছে। ভেতরে যাওয়ার উপায় নেই। তার কারণে ফায়ার সার্ভিসের টিটিএল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে ২০-২৫ জনকে আমরা রেসকিউ করেছি। আগুন পুরোপুরো নেভানোর আগে কিছু বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন>>চট্টগ্রাম ইপিজেডে কারখানায় ভয়াবহ আগুন
এআর/পিডি/টিসি