চট্টগ্রাম: বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন,‘‘নির্বাচনের নামে আওয়ামী লীগের ভোট বিহীন ‘নির্বাচন তামাশা’ দেশের জনগণ প্রত্যক্ষ করেছে। সিলেকশনের নির্বাচনে কোন প্রার্থী নেই।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার নগরীর নাসিমন ভবনে নূর আহম্মদ সড়কে স্থাপিত বিজয় মঞ্চে এক সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিজয় দিবস উপলক্ষে তিনদিন ব্যাপী বিজয় উৎসবের আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন,‘ভোট ছাড়া নির্বাচন জয়লাভ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ভেঙ্গে দিয়েছে। ’৭১ এ মুক্তিযোদ্ধারা যে সংগ্রাম করেছিল সেই সংগ্রামের মূল লক্ষ্য ছিল একটি গণতান্ত্রিক ও আধুনিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। মুক্তিযোদ্ধাদের সেই লক্ষ্য ও স্বপ্নকে সরকার ভূলুণ্ঠিত করেছে। ’
এসময় তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটাধিকার হরণ করছে অভিযোগ করে বলেন,‘সরকার বাকশালের মত একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার শেষ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ’
নোমান বলেন, ‘ভোট বিহীন নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে যারা প্রার্থী হয়েছে তারা এখন জনগণের প্রতিপক্ষ। জনগণ তাদেরকে জাতীয় বেঈমান এবং গণতন্ত্রের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে রাখবে। ’
তিনি বলেন,‘ বর্তমানে দেশে যে সংকট চলছে তা থেকে উত্তরণের এখনো সময় আছে। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে সামাজিক ও রাজনৈতিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সংকটের সুরাহা করতে পারেন। অন্যথায় অরাজনৈতিক শক্তি ও দুর্নীতিবাজদের লুটপাঠের পথ সুগম হবে। ’
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন,‘দমন-পীড়ন যত বাড়বে, চলমান আন্দোলন তত বেশি তীব্র হবে। ’
সরকার গণতন্ত্রের নামে স্বৈরচারি আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
নগর বিএনপির সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম, দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, নগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসাইন, বিএনপি নেতা এমএ সবুর, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি এনামুল হক এনাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি কাজী বেলাল, মহানগর বিএনপি নেতা আহমেদুল আলম রাসেল, আবদুল মান্নান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী সিরাজ এবং সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৩
সম্পাদনা: তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর।