ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দেশকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়া যায় না

চট্টগ্রাম প্রতিদিন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৩
দেশকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়া যায় না

চট্টগ্রাম: একজন ব্যক্তির জেদ ও ক্ষমতা লিপ্সার খেসারত দিতে গিয়ে দেশ, জাতি ও অর্থনীতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন পেশাজীবী নেতারা।

তারা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন জাতীয় দাবি।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর জেদ ও ক্ষমতা আকড়ে থাকার ইচ্ছা থেকে সংবিধানের দোহাই দিয়ে এ গণদাবিকে পাশ কাটিয়ে একটি প্রহসনমুলক নির্বাচনের মাধ্যমে জাতিকে গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে।  

মঙ্গলবার সকালে নগরীর নুর আহমদ সড়কের সিএমইউজে মিলনায়তনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, চট্টগ্রাম আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন বক্তারা।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়া, দেশব্যাপী হত্যা-নির্যাতন বন্ধ ও জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে এ সমাবশের আয়োজন করা হয়।

ডা. এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- শিক্ষক নেতা অধ্যাপক ড. হাসান মোহাম্মদ, ড. আ ন ম মুনির আহমদ চৌধুরী, অধ্যাপক নসরুল কদির , ড. আহসান সাইয়েদ, অধ্যাপক এ জি এম নিয়াজ উদ্দিন, অধ্যাপক শাহ আলম, পেশাজীবী নেতা প্রকৌশলী কে এম সুফিয়ান, সাংবাদিক নেতা জাহিদুল করিম কচি। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সংবাদপত্র, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা মুখ থুবড়ে পড়েছে। পঞ্চদশ সংশোধনীর পর সংবিধানকে ক্ষমতাসীন দলের রক্ষাকবচে পরিণত করা হয়েছে। দমন-পীড়নের মাধ্যমে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম স্তব্ধ করার অপচেস্টায় যে নৈরাজ্যকর রাজনৈতিক পরিস্থিতির উদ্ভব  হয়েছে তাতে অর্থনীতি, মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত।

নিজেদের ক্ষমতা রক্ষায় প্রতিবেশী দেশ ভারতের স্বার্থরক্ষা করে তাদের খুশী করতে গিয়ে বাংলাদেশের গৌরবজনক স্বাধীন অবস্থান আজ হুমকিগ্রস্থ। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশ ক্রমশ বন্ধুহীন ও একঘরে হয়ে পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে দল-মত-ধর্ম-পেশা নির্বিশেষে সকল গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক শক্তিকে সুচিন্তিতভাবে নিজ নিজ অবস্থান থেকে বর্তমান সরকারের জাতি বিনাশী তৎপরতার বিরুদ্ধে সক্রিয় ভুমিকা রাখা অগ্রাধিকার কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক সংকটের রাজনৈতিক সমাধান প্রচেস্টার পরিবর্তে যৌথবাহিনীর সাথে ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র ক্যাডারদের দিয়ে নৈরাজ্য দমনের নামে বিরোধী নেতা-কর্মীদের গুলি করে হত্যা, গুম, বাড়ী ঘর জ্বালিয়ে দেয়া, সহায়-সম্পদ লুটের ঘটনায় জাতি স্তম্ভিত। এ ধরনের পৈচাশিক বর্বরতা একাত্তরের হানাদার বাহিনীর নিষ্ঠুর কর্মকান্ডকে স্মরণ করিয়ে দেয়। এর পরিনাম কখনো শুভ হয়নি, হতে পারে না। কারন, ফ্যাসিবাদ ক্ষণস্থায়ী, জনগনের ইচ্ছা আর গণতন্ত্রই দীর্ঘস্থায়ী।

পেশাজীবী নেতারা জনগণ প্রত্যাখ্যাত তামাশার নির্বাচন বাতিল, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের মাধ্যমে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি, ভারসাম্যমূলক মিডিয়ার কার্যকর উপস্থিতির নিরিখে বন্ধ মিডিয়া খুলে দেয়া, গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রনে অঘোষিত সেন্সর আরোপ বন্ধ, আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন ভেঙ্গে দিয়ে কমিশন পুনর্গঠনের দাবী জানান।

সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জি আবুল কাশেম, মেট্রো পলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, মুস্তফা নঈম, শিক্ষক নেতা এম এ সাফা চৌধুরী, মাহফুজুল ইসলাম, এম এ মোমিন, সাংবাদিক কামরুল হুদা, এয়াকুব আলী মনি, সাইফুল ইসলাম শিল্পী, মোহাম্মদ হোসাইন, প্রকৌশলী জাহিদ আবছার, প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, চিকিৎসক নেতা ডা. মোহাম্মদ ঈসা চৌধুরী, ডা. মোনায়েম ফরহাদ,  ডা. আতাউর রহমান সোহাগ, ডা. হাসানুল বান্না, ডা. মাঈনুদ্দিন মজুমদার,  ডা. ইমরান আহমদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৩

এএএম/পিআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।