রামু (কক্সবাজার): স্বাধীনতার চেতনা বাস্তবায়নে সাংস্কৃতিক চর্চার কোন বিকল্প নেই। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রচারিত কালজয়ী গান যেভাবে মুক্তিকামী সাত কোটি মানুষকে প্রেরণা যুগিয়েছিল, ঠিক সেভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও সাম্প্র্রদায়িকতা রুখে দিতে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের বিকল্প নেই।
রামু কোমলমতি শিশু নিকেতনের উদ্যোগে শুক্রবার রাতে আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ হোসেন।
শিশু নিকেতনের পরিচালক রাজিব বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ও সাংস্কৃতিক সংগঠক অর্পন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সভায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন, কক্সবাজার জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবু আহমেদ ও মুক্তিযোদ্ধা রমেশ বড়ুয়া।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুসরাত জাহান মুন্নি, রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আপ্পেলা রাজু নাহা, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব প্রবীর বড়ুয়া, শিক্ষক পরিতোষ চক্রবর্তী বাবুল, বাংলাদেশ বেতার কক্সবাজার কেন্দ্রের সঙ্গীত প্রযোজক বশিরুল ইসলাম, বোধিরত্ন’র প্রধান সম্পাদক দুলাল বড়ুয়া, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ শহীদ, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি (যুব) রামু উপজেলা শাখার সভাপতি সুরেশ বড়ুয়া বাঙ্গালী, কবি তাপস মল্লিক প্রমুখ।
এর আগে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রামু সাংস্কৃতিক ইউনিয়নের সদস্য সচিব মোহাম্মদ সাহেদ।
এর আগে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা আয়োজিত জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত কোমলমতি শিশু নিকেতনের দুই কৃতি শিল্পী মোহাম্মদ সাহেদ ও তাসনোভা মেহজাবিন আনিকা, শীর্ষক বড়ুয়া উষ্ণ এবং শিশু একাডেমির আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিপ্সা বড়ুয়া মেঘলাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এসময় প্রধান অতিথি তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এরপর কোমলমতি শিশু নিকেতনেরর শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৩
সম্পাদনা: তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর।