চট্টগ্রাম: কৌশলে সাড়ে চার কোটি ভোটারের ভোটাধিকার হরণ করে দশম সংসদ নির্বাচনের নামে সরকার যে তামাশা শুরু করেছে তা গণতন্ত্রের ইতিহাসে নজিরবিহীন। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে এ নির্বাচন কলংক তিলক হয়ে থাকবে।
শনিবার নগরীর নুর আহমদ সড়কে সিএমইউজে চত্বরে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, চট্টগ্রাম শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন,বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়া, দেশব্যাপী হত্যা-নির্যাতন বন্ধ ও দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
তারা বলেন,‘পৃথিবীর কোন দেশের জনগণ নির্বাচনের নামে তাদের সঙ্গে ঠাট্টা মশকরা কখনো দেখেনি। একদলীয় কোটারীর নির্বাচন শুধুমাত্র একদলীয় শাসন ও ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটাবে না ,এটা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও জবাবদিহিতামূলক শাসনের বিকাশকেও চরমভাবে রুদ্ধ করবে। ’
একই সঙ্গে দেশের সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও লুটপাতের পথকে আরো প্রসারিত করবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
দশম সংসদ নির্বাচনের তফসিল ইতোমধ্যে জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়েছে দাবি করে তারা বলেন,‘দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল বাতিল করে নতুন তফসিল ঘোষণা করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দিতে হবে এবং দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে। ’
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট কবীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান প্রধান অতিথি হিাসবে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন।
পরিষদের সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী ও সিএমইউজে’র সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহনওয়াজের যৌথ সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর আ ন ম মুনির আহমদ চৌধুরী, ড. হাসান মোহাম্মদ, চবি শিক্ষক প্রফেসর নসরুল কদির, প্রফেসর জাহিদ হোসেন শিকদার, প্রফেসর আহসান সাইয়েদ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে এম এ ছাফা চৌধুরী, সাংবাদিক নেতা মো. ইসকান্দর আলী চৌধুরী, মঈনুদ্দীন কাদেরী শওকত, জাহিদুল করিম কচি, মুস্তফা নঈম, প্রকৌশলী নেতা কে এম সুফিয়ান, প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন, প্রকৌশলী সেলিম মো. জানে আলম, আইনজীবী নেতা অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এনামুল হক, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, অ্যাডভোকেট সেকান্দর বাদশা ,
অ্যাডভোকেট এস ইউ এম নুরুল ইসলাম, রাজনীতিক জাহাঙ্গীর আলম, আবু সুফিয়ান, সালাহউদ্দিন, এম এ হালিম, এরশাদ উল্লাহ, সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, নারী নেত্রী মনোয়ারা বেগম মনি, জেলী চৌধুরী, চিকিৎসক নেতা ডা. এম এ মান্নান, ডা. মো. ঈসা চৌধুরী, ডা. মোনায়েম ফরহাদ, ডা. আহমদ উল্লাহ, ডা. শাহনেওয়াজ সিরাজ, সাংস্কৃতিক সংগঠক আবদুল মান্নান রানা, প্রকৌশলী জাহেদ আবছার চৌধুরী,ব্যবসায়ী নেতা মোহাম্মদ ইছহাক এবং এস এ সোলায়মান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২১০৩
সম্পাদনা: তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর।