চট্টগ্রাম: নগরীতে পরিচ্ছন্নতা অভিযানের পর এবার নালা পরিস্কার কাজ শুরু করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ। শুক্রবার সকালে পাঁচ শতাধিক পুলিশ সদস্যের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে এ কাজের উদ্বোধন করেন পুলিশ কমিশনার আব্দুল জলিল মণ্ডল।
উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা শহরের উপরিভাগ পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছিলাম। চট্টগ্রামসহ সারাদেশের মানুষ সে পদক্ষেপে উদ্বুদ্ধ হয়ে সবাই ঝাঁড়– হাতে নিয়েছে, এটাই আমাদের সফলতা।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের দুঃখ জলাবদ্ধতা। আর এ জলাবদ্ধতার কারণ নালা-খাল বন্ধ থাকা। ময়লার কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। চট্টগ্রাম শহরকে জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্ত রাখতে হলে নালা-খাল পরিস্কার রাখতে হবে।
সিটি কর্পোরেশনের কর্মীদের সহায়তায় পুলিশ নালা পরিস্কারের কাজ করবে জানিয়ে তিনি একই সঙ্গে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসা-বাড়ির পার্শ্ববর্তী খাল-নালা পরিস্কার রাখার আহ্বান জানান।
বাড়ির ময়লা নালায় না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যারা নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলবেন না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আমি চাইনা এই আইন কারো বিরুদ্ধে প্রয়োগ করতে।
নগরবাসী সচেতন থাকলে চট্টগ্রাম শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবেনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি একটি সামাজিক আন্দোলন, আর এই ম্যাসেজটাই আমি সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই।
পরে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা আটটি ভাগে বিভক্ত হয়ে দুই নম্বর গেইট থেকে এন মোহাম্মদ কমিউনিটি সেন্টার পর্যন্ত নালা পরিস্কারের কাজ করেন। দুই ঘন্টা পরিস্কার অভিযান চালানোর পর প্রথমদিনের অভিযান সমাপ্তি ঘোষণা করেন সিএমপি কমিশনার।
এরপর চট্টগ্রাম শফিং কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ী নেতারা পুলিশ কমিশনারে উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং কয়েক দিনের মধ্যে নিজেরাও এ কাজে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানান।
অভিযানে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন, অর্থ ও ট্রাফিক) একেএম শহিদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) বনজ কুমার মজুমদার, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক উত্তর) মাসুদ-উল-হাসান, উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) কুসুম দেওয়ান, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) ফারুক আহমেদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) হারুন-উর-রশিদ হাযারী, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) পরিতোষ ঘোষ, উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) সঞ্জয় কুমার কুন্ডু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়:২০০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২.১২.১৪