চট্টগ্রাম: ঘটনা প্রায় ২০ বছর আগের। মামলার অভিযোগপত্রও দাখিল হয়েছে ২০ বছর আগে।
১৯৯৪ সালে নগরীর কোতয়ালি থানার এনায়েতবাজারের ১৪ নন্দনকাননে বহুল আলোচিত গ্র্যাণ্ড হোটেলে বোমা বিস্ফোরণ মামলার প্রায় শেষ পরিণতি এটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম নওরিন আক্তার কাকনের আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। শুনানি শুরুর পর্যায়ে ওই আদালতের সহকারি পিপি অ্যাডভোকেট আজহারুল হক জানান, মামলাটি রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার করা হয়েছে। এসময় আদালত প্রত্যাহার সংক্রান্ত নথি দেখতে চান।
তবে রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি এ সংক্রান্ত কোন নথি দেখাতে না পেরে সময়ের আবেদন জানান। আদালত ২০ জানুয়ারি প্রত্যাহার সংক্রান্ত নথি আদালতে উপস্থাপনের আদেশ দেন।
সহকারি পিপি অ্যাডভোকেট আজহারুল হক বাংলানিউজকে বলেন, মামলাটি রাজনৈতিক বিবেচনার প্রত্যাহার সংক্রান্ত একটি সিদ্ধান্তের অনুলিপি আমি আজ (মঙ্গলবার) পেয়েছি। এ সিদ্ধান্তের সার্টিফাইড কপি পেলে সেটা আদালতে দাখিল করব। এজন্য আমি সময় চেয়েছি। আদালতের নির্ধারিত সময়ে কেস ডকেট, প্রত্যাহারের নথিসহ পুরো শুনানি করব।
১৯৯৪ সালে গ্র্যাণ্ড হোটেলে বোমা বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় বেশ কয়েকজন হতাহত হন। এ ঘটনায় ১৯৯৪ সালের ৬ মে হোটেলের মালিক নাছিম উদ্দিন বাদি হয়ে সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রাক্তন এপিএস হাসান মোহাম্মদ শমসেরকে প্রধান আসামি করে নয়জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত করে একই বছরের ১৮ ডিসেম্বর কোতোয়ালী থানার এস আই আতিকুর রহমান নয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। অভিযুক্তরা হল, মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাবেক এপিএস হাসান মোহাম্মদ শমসের, ইউনুস প্রকাশ আবদুর রহমান, নিলু প্রকাশ ভেজা, সামছু, বাবুল বড়ুয়া, মোহাম্মদ মিন্টু, পিন্টু, সেলিমুর রশীদ প্রকাশ সেলিম ও আবদুস সাত্তার। এদের মধ্যে পিন্টু, সামছু, বাবুল বড়ুয়া ও ইউনুস দীর্ঘদিন ধরে পলাতক।
মামলার অভিযুক্তরা সবাই মহিউদ্দিনের অনুসারি তৎকালীন ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মী। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৪৪, ৪৪৮, ৩২৩, ৩৭৯ ও ৩৮০ ধারায় অভিযোগ আনেন তদন্তকারি কর্মকর্তা।
২০০৪ সালের ১০ অক্টোবর মামলাটি বিচারের জন্য আসে মহানগর হাকিম আদালতে। এরপর থেকে গত ১০ বছর ধরে মামলাটি শুধু অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় নির্ধারণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে আছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৪