ঢাকা, সোমবার, ১৫ পৌষ ১৪৩১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘নিঃস্বার্থভাবে দেশ ও জনগণের সেবা করতে হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৪
‘নিঃস্বার্থভাবে দেশ ও জনগণের সেবা করতে হবে’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

চট্টগ্রাম: নিঃস্বার্থভাবে দেশ ও জনগণের সেবা করতে সেনাবাহিনীর সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত তরুণদের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাদের সর্বদা প্রস্তুত থাক‍ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।



বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির (বিএমএ) প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত ৭১তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্স এবং ৪২তম বিশেষ কোর্সের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের নিঃস্বার্থভাবে দেশ ও জনগণের সেবা করতে হবে।
এ কাজে কখনোই পিছপা হবেন না। আপনাদের জন্য দোয়া ও শুভ কামনা রইল।

শেখ হাসিনা বলেন, আজ থেকে মাতৃভূমির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের ওপর অর্পিত হলো। ফলে এই দায়িত্ব পালনের জন্য আপনাকে সর্বদাই সতর্ক ও প্রস্তুত থাকতে হবে। জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করাই হবে সেনা সদস্যদের জীবনের প্রথম ও প্রধান ব্রত।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশে-বিদেশে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের জন্য সকল মহলের প্রশংসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের যে কোনো এলাকার জনগণ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে জানে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা দেশের জনগণের একটি অবিচ্ছিন্ন অংশ। আপনারা গণমানুষের সুখ-দুঃখ এবং হাসি-কান্নার সমঅংশীদার।

সেনাবাহিনী সব সময় দেশের যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় অসহায় মানুষের পাশে থাকে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই বাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা, সড়ক, ফ্লাইওভার এবং অবকাঠামো নির্মাণ, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও ট্রাফিক জ্যাম নিরসন, হাতিরঝিল প্রকল্প বাস্তবায়ন, ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও মেশিন রিড্যাবল পাসপোর্ট তৈরিতে দক্ষতা ও সফলতা দেখিয়েছে।

তিনি বলেন, একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্ম হয়েছিল। সুমহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত সেনাবাহিনী আমাদের সকলের গর্ব ও অহংকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে এখন একটি প্রতিশ্রুতিশীল ও শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। আমাদের দেশ এখন জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সর্বোচ্চসংখ্যক সৈন্য পাঠিয়ে বিশ্বে শান্তি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এর আগে, একটি খোলা জিপে চড়ে প্যারেড পরিদর্শন এবং সালাম গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী প্রশিক্ষণে সব বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব লাভের জন্য সোর্ড অব অনার বিজয়ী ক্যাডেটকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান ও পদক বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়া এবং বিএমএ কমান্ড্যান্ট মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিবর্গ, উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যবর্গ, কূটনীতিক এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছুলে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়া, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি), আর্মি ট্রেনিং এন্ড ডকট্রিন কমান্ড লে. জেনারেল চৌধুরী হাসান সরওয়ারদী, জিওসি, ২৪ ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, চট্টগ্রাম এরিয়া, জেনারেল সাব্বির আহমেদ এবং বিএমএ কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার তাকে অভ্যর্থনা জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।