চট্টগ্রাম: হঠাৎ করেই আগমন। আসামাত্রই ক্ষুদে ভক্তদের অটোগ্রাফ, ছবি তোলার আবদার।
শুক্রবার বিকেলে নগরীর অভিজাত বইবিপনী কেন্দ্র বাতিঘরে এসে এভাবেই ভক্তদের কবলে পড়েছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী ও নাট্যজন আসাদুজ্জামান নূর।
বাতিঘরে এসে শিশু-কিশোরদের আবদার মেটাতে মেটাতেই ঘুরে দেখলেন সবগুলো কর্নার। এসময় তার সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজের।
সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক শুনেছি বাতিঘরের কথা। নিজের চোখে চমৎকার এ উদ্যোগ দেখতেই এখানে আসা। নিজ থেকেই এসেছি। ’
তিনি বলেন, এখানে যেমন প্রকাশকরা বিনিয়োগ করেছে, সেভাবে দেশের প্রতিটি শহরে এমন বইয়ের দোকানের পরিকল্পনা বাতিঘর কর্তৃপক্ষ করতে পারে।
বই দেখতে দেখতেই মন্ত্রী হঠাৎ ঘুরে গিয়ে বললেন, জোকসের বই আছে? আমার জোকসের বই ভালো লাগে। ’ বইয়ের এই খোঁজের সঙ্গে যোগ হলো স্বভাবজাত সারল্যের হাসি।
বিক্রয়কর্মীরা এগিয়ে এলে তাদের হাত থেকে নিলেন আর কে লক্ষণের লেখা ‘ভোট ফর লাফটার। ’
এসময় এক শিশু হঠাৎ সংস্কৃতিমন্ত্রীর সামনে এসে বলল, আমি আপনার সাথে ছবি তুলব। ম ন্ত্রী তখনই তাকে কোলে নিয়ে হাসিমুখে ছবি তুললেন। বললেন,‘বড় হয়ে যেন অভিযোগ করো না’ ।
এসময় বাতিঘরে আড্ডা জমানো নবীন লেখকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। দেন উৎসাহ।
যাওয়ার সময় পছন্দ করা বইগুলো কিনে নিতে ভুললেন না সংস্কৃতিমন্ত্রী। শঙ্খ ঘোষ, মৃনাল সেন, সত্যজিৎ চৌধুরী, গ্যারি জে ব্যাস,হাবিব তানভীর, বিপ্লবী কল্পনা দত্ত, অরিন্দম চক্র, মনোরঞ্জন ব্যাপারী, আর কে লক্ষণ, কানু বন্দোপাধ্যায়, উত্তমকুমার চট্টোপাধ্যায় ও রণজিৎ দাশের ১৩টি বই তিনি কিনে নিয়ে যান তিনি।
যাওয়ার আগে বাতিঘরের মতামত খাতায় লিখে যান– বাতিঘর প্রকৃত অর্থেই বাতিঘর। বাতিঘর আলো জ্বালাক, পথ দেখাক, অন্ধকার কেটে যাক, আলোর জয় হোক।
বাতিঘরে মন্ত্রীকে স্বাগত জানান প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী দীপঙ্কর দাশ।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘন্টা,ডিসেম্বর ২৬,২০১৪