চট্টগ্রাম: চিটাগাং অ্যাপারেল জোন নির্মাণে ১১ একর জমি হস্তান্তরে বিজিএমইএ ও সিটি করপোরেশনের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
রোববার রাত ৯টা ১২ মিনিটে দুই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সঁই করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ও বিজিএমইএ’র সভাপতি মো. ছিদ্দিকুর রহমান।
নগরীর কালুরঘাটে ১১ একর জমির ওপর এই জোন স্থাপিত হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চারজন স্বাক্ষী উপস্থিত ছিলেন।
নগরীর জিইসি কনভেনশন হলের পাশের খোলা মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
![](files/January2016/January03/CCC_and__BGMEA_signing_ML1_391731974.jpg)
এর আগে চুক্তি স্বাক্ষর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
মেয়র তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বিজিএমই একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি তার সামাজিক দায়বদ্ধতার কাজ হিসেবে এই জোন স্থাপনের মত জনহিতকর কাজটি করছে। ’
আ জ ম নাছির উদ্দিন আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এজন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে এপারেল জোনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি কর্মসংস্থান তৈরীতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ’
মেয়র বলেন, এ্যাকর্ড এলায়েন্সের কারণে সাময়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও দীর্ঘমেয়াদী সুফল পাওয়া যাবে।
![](files/January2016/January03/CCC_and__BGMEA_signing_ML2_284126689.jpg)
মেয়র বলেন, ‘বিশাল ঋণের বোঝা নিয়ে আমি দায়িত্ব নিয়েছি। তাই কাজ করতে গিয়ে আমাকে নেতিবাচক সমালোচনা সহ্য করতে হচ্ছে। তবুও দেশের অগ্রগতির জন্য কাজ করে যাব। ’
সভাপতির বক্তব্যে বিজিএমই’র সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘বিজিএমই’র পক্ষে এই ধরণের কাজে প্রথম উদ্যোগ এই প্রজেক্ট। তাই এটা যেকোনভাবে সফল করতে হবে। জোনটি স্থাপনের কাজ এখন থেকে শুরু হলেও পুরোপুরিভাবে সম্পন্ন করতে দুই থেকে আড়াই বছর লেগে যাবে। এ সময়ের মধ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের রক্ষা করা বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব ও কর্তব্য হবে এই সময়টাতে তাদের পাশে থাকা। ’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিজিএমইএ’র পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৫
এমইউ/টিসি