চট্টগ্রাম: নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার বাংলাবাজার এলাকায় গলা কেটে শিশুকে খুনের তিন ঘণ্টার মধ্যে ঘাতককে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। একইসঙ্গে খুনের আসল রহস্যও উদঘাটন করেছে পুলিশ।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বাংলানিউজকে জানান, শিশুটির বাসা থেকে মোবাইল চুরি করেছিল প্রতিবেশি এক নারী। ধরা খেয়ে স্থানীয়দের সালিশ অনুযায়ী মোবাইল সেট ফেরত দেয়ার পাশাপাশি তিন হাজার টাকা জরিমানাও দিতে হয় তাকে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাবাজারে গুলশান আবাসিক এলাকার দিদার কলোনিতে নিজের বাসার ভেতরে খুন করা হয় শিশুটিকে।
শিশুটির নাম আজিম হোসেন (১২)। সে স্থানীয় শেরশাহ স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
ওসি জানান, আজিমের বাবা তরকারি বিক্রেতা এবং মা গার্মেন্টস কর্মী। সকালে দু’জনই বাসা থেকে নিজ কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে যান। আজিমের নতুন বই নিয়ে আজ (মঙ্গলবার) প্রথমদিন স্কুলে যাবার কথা ছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার বড় ভাই বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। এসময় সে আজিমকে স্কুলে যাবার জন্য তৈরি হতে দেখেছিল। সাড়ে ১১টার দিকে আজিমের বাবা বাসায় এসে দেখেন, তার ছেলের জবাই করা রক্তাক্ত লাশ বিছানায় পড়ে আছে।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। সাথে সাথেই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন এবং খুনিকে গ্রেফতারে অভিযানে নামে পুলিশ। দুপুর আড়াইটার দিকে রনিকে আটক করে পুলিশ।
ওসি মোহাম্মদ মহসিন বাংলানিউজকে বলেন, ১৫-২০ দিন আগে রনি আক্তারের সঙ্গে মোবাইল নিয়ে বিরোধ সৃষ্টির বিষয়টি জানতে পারার পর রনিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই সে স্বীকার করে, আজিমকে বটি দিয়ে গলা কেটে সে খুন করেছে। এরপর তাকে আটক করা হয়েছে।
রনি আক্তারের বিরুদ্ধে বায়েজিদ থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে ওসি জানান।
** নতুন বই নিয়ে স্কুলে যাওয়া হলনা আজিমের, জবাই করে খুন
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৬
আরডিজি/আইএসএ/টিসি