ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাজার দর

শীতের সবজিতেই স্বস্তি

তাসনীম হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৬
শীতের সবজিতেই স্বস্তি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় শীতের সবজির দাম কমছে বাজারে। ফলে ক্রেতাদের মনে স্বস্তি ফিরেছে।

প্রায় সব ধরনের সবজিরই দাম কমেছে। তবে মাছের দাম আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে।
অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য প্রায় আগের সপ্তাহের মতো স্থিতিশীল আছে।

নগরীর চকবাজার, কাজির দেউড়ি ও বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

অধিকাংশ সবজিই ২৫-৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। তবে ঝিঙে ও শিমের বিচি কিছুটা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ঝিঙে ৮০ টাকা ও শিমের বিচি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া ফুলকপির মধ্যে তাজাগুলো বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০ টাকা পর্যন্ত, কয়েকদিন আগেরগুলো (দাগি) বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, আলু ৩০ টাকা, দেশি আলু ৪০ টাকা, বিভিন্ন ধরনের বেগুন ৩৫-৫০ টাকা, বরবটি ৫০-৫৫, কচুর লতি ৫০ টাকা, মুলা মানভেদে ১৫-২৫ টাকা, টমেটো ৩৫-৪০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, শসা ৩০-২৫ টাকা, শালগম ৪০ টাকা,  কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, করলা ৪০-৪৫ টাকা, শিম ৩০-৪০, মিষ্টি কুমড়া ৩৫ টাকা এবং শাক প্রতি আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম আগের মতো ৩০ টাকায় রয়ে গেছে।

কাজির দেউড়ি কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা দিদার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘দোহাজারি, পার্বত্য চট্টগ্রাম, সীতাকুণ্ড-মিরসরাইসহ চারদিক থেকে শীতকালীন সবজি আসছে নগরীতে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনের হওয়ায় উত্তরবঙ্গ থেকে সবজি আনার ক্ষেত্রে ট্রাক ভাড়া কিছুটা কমেছে। এ জন্য আমরা কম দামে সবজি কিনতে পারছি এবং ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে পারছি। ’

এদিকে সবজির দাম কমলেও মাছের দাম আগের দামের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। এ ছাড়া মিঠা পানির জীবিত মাছগুলোর দাম বরফ দিয়ে রাখা মাছের তুলনায় অনেক বেশি হাঁকতে দেখা গেছে।  

প্রতি কেজি তেলাপিয়া ১৩০-১৪০ টাকা, জীবিত তেলাপিয়া ১৮০-২০০ টাকা , কাতলা ২৫০-৩০০ টাকা, জীবিত কাতলা ৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৬০-১৮০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০-১৩০ টাকা, চিতল ৪৮০-৫০০ টাকা, ফার্মের কই ২০০-২২০ টাকা, দেশি কই ৭০০ টাকা, বোয়াল ৪০০ টাকা, কার্প ২০০ -২৫০ টাকা এবং শিং ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সামুদ্রিক মাছের মধ্যে ছোট ইলিশ প্রতি কেজি ৬৫০-৮০০, কোরাল ছোট ৪০০ টাকা, বড় ৬০০ টাকা, রুপচাঁদা জাত ও আকার ভেদে ৩০০-৮০০ টাকা, পোয়া  আকার ভেদে ২৫০-৩০০, চিংড়ি আকার ভেদে ৩৬০-১৫০০ টাকা বিক্রি হয়েছে।

এ ছাড়া প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৪৫ টাকা, লেয়ার মুরগি ১৬৫ টাকা, সোনালি (পাকিস্তানি) ২০০-২২০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে কথা হয় মাছ কিনতে আসা শামসুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রতি কেজি সবজিতে দাম প্রায় পাঁচ টাকা করে কমলেও মাছের দাম কমছেই না। আজ দেখলাম মাছের দাম আরও বেড়েছে। সরবরাহও বেশি, তবুও মাছের দাম কেন কমছে না বুঝতে পারছি না। ’ 

ফার্মে উৎপাদিত মুরগির ডিম প্রতি ডজন ৯৬ টাকা,  দেশি মুরগির ডিম ১২০ টাকা। গরুর মাংস হাড়সহ ৪০০ টাকা, হাড়ছাড়া মানভেদে ৪৫০ থেকে ৪৮০, খাসির মাংস ৬০০ টাকা।

এ ছাড়া চাল, ডাল, তেল, চিনি, পেয়াজ, রসুন, আদাসহ নানা নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যসমূহ স্থিতিশীল রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘন্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৬
টিএইচ/এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।