ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘শুল্ক বিরোধ নিয়ে করা মামলার কারণ খতিয়ে দেখা হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৬
‘শুল্ক বিরোধ নিয়ে করা মামলার কারণ খতিয়ে দেখা হবে’ ছবি : সোহেল সরওযার/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: যেসব মামলার সঙ্গে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব জড়িত তা চিহ্নিত করে দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।

মামলার কারণে জড়িত রাজস্ব বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) মাধ্যমে আদায়ে এরইমধ্যে আদালত ও বিচারকদের কাছ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, কী কারণে এ ধরণের মামলার ঘটনা ঘটছে তাও খতিয়ে বের করতে হবে।



বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ মিলনায়তনে রাজস্ব বিষয়ক এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান। চট্টগ্রাম অঞ্চলের শুল্ক, মূসক ও আয়কর বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে রাজস্ব বিষয়ক এ সভার আয়োজন করা হয়।


মামলাবাজ আমদানিকারকদের আর্থিক প্রতিবেদন খতিয়ে দেখা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, শুল্কমূল্য নির্ধারণ নিয়ে আমদানিকারকদের মধ্যে আদালতে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। ফলে দীর্ঘদিনেও জড়িদ রাজস্ব আদায় হচ্ছে না।

‘যেসকল প্রতিষ্ঠান অযথা বারবার মামলা করে রাজস্ব আহরণে বাধা সৃষ্টি করছেন তাদের আয় এবং প্রতিষ্ঠানের আর্থিক প্রতিবেদন খতিয়ে দেখার পাশাপাশি সুযোগ সুবিধা কমিয়ে আনা হবে। ’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এনবিআর এর সদস্য ফরিদ উদ্দিন বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছরে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে। তবে দেশের অর্থনীতির আকার যে হারে বাড়ছে সে হারে আমাদের রাজস্ব আদায় বাড়ছে না।

উপস্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিভিন্ন প্রশ্ন ও মতামতের পরিপেক্ষিতে এনবিআর এর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আইনি সীমাবন্ধতার কারণে রাজস্ব আদায় বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। তা দ্রুত সংশোধন করা হবে।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের যুগ্মকমিশনার এহতেশামুল হকের সঞ্চালনায় মত বিনিময় সভায় এনবিআর সদস্য (শুল্কনীতি) ফরিদ উদ্দিন, সদস্য (কর প্রশাসন ও মানব সম্পদ উন্নয়ন বিভাগ) আব্দুর রাজ্জাক, মহাপরিচালক (সিআইডি) মো. বেলাল উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম কাস্টমস এর অতিরিক্ত কমিশনার মুবিনুল কবির, মো. আজিজুর রহমান, যুগ্ম কমিশনার রেজাউল হক, মো. শামসুজ্জামান, সহকারী কমিশনার মুকিতুল হাসান, মো. রহমত আলী সহ শুল্ক, মূসক ও আয়কর বিভাগের পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৬
এমইউ/টিসি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।