ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘সংগীতে আকাল চলছে, উচ্চাঙ্গ সংগীতের অবস্থা ভয়াবহ’

নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৬
‘সংগীতে আকাল চলছে, উচ্চাঙ্গ সংগীতের অবস্থা ভয়াবহ’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, বাংলাদেশে সংগীতে এখন আকাল চলছে। উচ্চাঙ্গ সংগীতের অবস্থা তো আরও ভয়াবহ।

এক সময় বাংলাদেশের গ্রামে-শহরে অনেক পরিবারে সকালে হারমোনিয়ামের আওয়াজ পাওয়া যেত। এখন আর সেই অবস্থা নেই।


তিনি বলেন, মৌলবাদীতা থেকে সমাজকে মুক্ত করতে সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই। আর এ কাজটা করতে পারে সংগীত। সংগীতের মাধ্যমেই পথভ্রষ্ট মানুষদের সঠিক পথে পরিচালিত করা সম্ভব।

বুধবার রাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতীয় উচ্চাঙ্গ সংগীত সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।   সুরসম্রাট উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ স্মরণে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে ‘সদারঙ্গ উচ্চাঙ্গ সংগীত পরিষদ বাংলাদেশ’।

দুই দিনব্যাপী আয়োজনের প্রথম দিনে প্রথম অধিবেশনে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ঢাকার চেয়ারম্যান আবুল খায়ের। সদারঙ্গ উচ্চাঙ্গ সংগীত পরিষদ বাংলাদেশ এর সভাপতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুল জলিল মণ্ডল।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সদারঙ্গ উচ্চাঙ্গ সংগীত পরিষদ বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক স্বর্ণময় চক্রবর্তী। বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশের প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বর্তমানের অবকাঠামো অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো। তবে নাটকের মান আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। বাড়ির খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো লোকেরাই সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। তারাই নিজের পকেটের টাকা দিয়ে সংস্কৃতি চর্চার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে।

চট্টগ্রামে মুসলিম হলকে সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে রূপদান করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মুসলিম হলকে কেন্দ্র করে সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স গড়ে তোলার নকশা অনুমোদন হয়েছে। এখন শুধু বাজেট অনুমোদনের অপেক্ষা।

মন্ত্রী বলেন, একজন শিক্ষার্থীকে পূর্ণাঙ্গ মানুষ হতে হলে বইয়ের পড়ালেখার পাশাপাশি নাচ, সংগীত, অভিনয়, আবৃত্তি, আঁকাআঁকি ইত্যাদি কাজে অংশগ্রহণ করতে হবে। যারা এসব কাজ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করছে আমরা তাদের সঙ্গে থাকব। আগামীতে এ আয়োজন আরও বড় পরিসরে করার ব্যাপারে সহযোগিতা করা হবে।

বৃহস্পতিবার সম্মেলনে দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় অধিবেশনে বিকেল চারটায় অনুষ্ঠিত হবে ‘শুদ্ধ সংস্কৃতি, পরিশীলিত মন’ শীর্ষক আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি ও মুখ্য আলোচক থাকবেন নাট্যজন আলী যাকের। রাত সাড়ে নয়টা চতুর্থ ও শেষ অধিবেশনের উদ্বোধন করবেন জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন। চতুর্থ ও অন্তিম অধিবেশনে রাত পৌনে দশটা থেকে শুক্রবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত পরিবেশিত হবে উচ্চাঙ্গ সংগীত।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৬
আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।