ঢাকা, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০২ জিলকদ ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আইআইইউসি’র পাঁচ ক্যাম্পাস অবৈধ, ইউজিসির সতর্কতা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:২৮, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৬
আইআইইউসি’র পাঁচ ক্যাম্পাস অবৈধ, ইউজিসির সতর্কতা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

চট্টগ্রাম: অনুমোদন ছাড়া নগরীতে পাঁচটি ক্যাম্পাস পরিচালনা করায় আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইআইইউসি) ক্যাম্পাসগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করে সেখানে শিক্ষার্থীদের ভর্তি না হতে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

বুধবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সতর্কতা জারি করে ইউজিসি।



বিজ্ঞপ্তিতে এ পাঁচ অননুমোদিত ক্যাম্পাসে ভর্তি হয়ে প্রতারণার শিকার না হতে শিক্ষার্থীদের সতর্ক করার পাশাপাশি এসব ক্যাম্পাস থেকে অর্জিত ডিগ্রি ইউজিসি কর্তৃক গ্রহণযোগ্য নয় বলেও জানানো হয়।

ইউজিসি’র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের উপ পরিচালক জেসমিন পারভীন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সীতাকুণ্ডের কুমিরা ক্যাম্পাসটি ইউজিসি অনুমোদিত।
  কিন্তু এর বাইরে নগরীর বহদ্দারহাট (মহিলা শাখা), কর্ণফুলি ভবন (প্যারেড মাঠের পূর্ব পাশ্বে), কেয়ারি শপিং মলের পেছনে অবস্থিত বর্ধিত ভবন, গুলজার টাওয়ারের বিপরীতে পার্শ্বে, চট্টেশ্বরী রোডে অনুমোদন ছাড়া আরও পাঁচটি ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। যা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পরিপন্থী।

একইভাবে ইউজিসির ওয়েবসাইটেও এ বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন ছাড়া ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে বলে উল্লেখ রয়েছে।

এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এই ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা অমান্য করে শিক্ষার্থী ভর্তি অব্যাহত রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।   বর্তমানে অনুমোদনবিহীন এ পাঁচ ক্যাম্পাসে দুই শিফটে পড়ালেখা করছেন কয়েকহাজার শিক্ষার্থী।

তবে বিজ্ঞপ্তিটি যে ইউজিসি কর্তৃপক্ষ দিয়েছে তা মানতে প্রথমে নারাজ ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এটা কারা দিয়েছে তা বুঝতে পারছি না। অনেকে অনেকভাবেই দিতে পারে। ’

তবে ইউজিসির ওয়েবসাইটেও বিষয়টি উল্লেখ আছে এ বিষয়টি ধরিয়ে দিলে রেজিস্ট্রার বলেন, ‘এ বিষয়ে ইউজিসির সঙ্গে আমাদের আলোচনা ও চিঠি চালাচালি হচ্ছে। আমরা ইউজিসি কর্তৃপক্ষকে বুঝানোর চেষ্টা করছি, এ ক্যাম্পাসগুলো স্থায়ী ক্যাম্পাস থেকে পৃথক হলেও সব ক্যাম্পাসেই আমরা একই সিলেবাস, একই ক্যারিকুলাম, একই সময়ে পরীক্ষা নিচ্ছি। আমাদের যেহেতু মেয়ে আর ছেলে পৃথকভাবে পড়ানোর একটা নিয়ম আছে তাই আলাদা আলাদা ক্যাম্পাস। আর আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাস সীতাকুণ্ডের কুমিরায়। ওটা পরিপূর্ণভাবে গড়ে উঠলে আমরা ওখানেই চলে যাব। আপাতত আউটার ক্যাম্পাসগুলো পরিচালনা করা হচ্ছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৬
টিএইচ/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।