চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ঘোষিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটিতে তাদের নাম নেই। তারপরেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজেদের টাইমলাইনে কাজের পরিধির স্থানে কেউ লিখেছেন ‘বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি’।
তাদেরই একজন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত জ্যোতিষ্ক চাকমা।
পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হওয়ার প্রায় চার মাস পর গত ২৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ছয়টা ৪১ মিনিটে তিনি নিজের ওয়ালে একটি স্ট্যাটাস দেন।
সেখানে তিনি লিখেন ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে দেরিতে হলেও সহ-সম্পাদক মনোনীত হওয়ায় বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফজলে রাব্বি সুজন ভাইকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ’
শুধু জ্যোতিষ্ক চাকমা নন; রিদোওয়ান ইবনে সাত্তার ও নাছির উদ্দিন মিশু নিজেকে সহ-সম্পাদক এবং মোরশেদ আমিন জুয়েল নিজেকে সহ সভাপতি দাবি করে ফেসবুকে লিখেছেন। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক পদ দাবি করা জ্যোতিষ্ক চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, ‘২৬১ জনের কমিটিতে আমার নাম ছিল না। তবে সামনে একটি কমিটির তালিকা দিচ্ছে, সেখানে আমাকে সহ-সম্পাদক হিসেবে রাখা হয়েছে। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পদ পাওয়ার বিষয়ে লিখেছি। ’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন ভাই আমাকে পদ পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। ’
একই বিষয়ে জানতে চাইলে সহ-সভাপতি পদ দাবি করা মোরশেদ আমিন জুয়েল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা বলার জন্য এ প্রতিবেদককে পরামর্শ দেন।
সহ-সম্পাদক দাবি করা অন্য দুই জন রিদুয়ান ইবনে সাত্তার ও নাছির উদ্দিন মিশুর বক্তব্য জানতে তাদের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু বাংলানিউজকে বলেন, ‘আগস্টে ছাত্রলীগে ঘোষিত কমিটিতে থাকা ব্যক্তিরা ছাড়া আর কেউ পদধারী না। আর যারা কমিটিতে না থেকেও পদধারী হিসেবে দাবি করছে তাদের পাগল ছাড়া আর কি বলব? তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজন অসুস্থ থাকায় তার বদলে দায়িত্ব পালন করছেন সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ।
তার কাছে (আবু সাঈদ) জানতে চাওয়া হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনিও ফজলে রাব্বী সুজনের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করতে বলেন।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এইচ এম ফজলে রাব্বীর দুটি ব্যক্তিগত নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কোনো নেতার পক্ষে পদ দেওয়া সম্ভব না উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘২৬১ জনের ঘোষিত কমিটি ছাড়া আর কেউ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পদধারী না। এরকম পদ দেয়ার এখতিয়ার শুধু কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের রয়েছে। আমি বিষয়টি খবর নিচ্ছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০ ঘণ্টা, ২০১৬
জেইউ/টিএইচ/টিসি