নিম্নআয়ের গৃহস্থবাড়িতে সকাল-দুপুর গোবরের ঘুঁটে তৈরি করে রোদে শুকাতে দিচ্ছেন নারীরা। এতে নিজেদের ঘরের চুলা জ্বালানোর পাশাপাশি বাড়তি আয়ও হচ্ছে।
সীতাকুণ্ড, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, বাঁশখালীসহ বেশ কিছু উপজেলায় ঘুঁটে তৈরির দৃশ্য চোখে পড়েছে।
সীতাকুণ্ডের মুরাদপুরের মোজাম্মেল হকের নতুন বাড়ির খালেদা বেগম (৩০) বাংলানিউজকে বলেন, দুইটি হালের গরু আছে গোয়ালে। শীতকালে প্রতিদিন সকালে যে গোবর পাই তা দিয়ে ঘুঁটে তৈরি করি। বছরের অন্য সময় গোবর মাটিতে বড় গর্ত করে জমিয়ে রাখি। ক্ষেতখামারে গোবরের কদর আছে বেশ।
তিনি জানান, প্রতিটি গোবরের লাঠি সর্বনিম্ন দুই টাকা বিক্রি হয়। ঘুঁটের সাহায্যে আমরা বছরের বেশিরভাগ সময় চুলা জ্বালাই। এ ছাড়া বাড়তি ঘুঁটে বিক্রি করে দুই মেয়ের লেখাপড়ার খরচ মেটাতে পারছি।
স্থানীয় কৃষক আবু তাহের বাংলানিউজকে জানান, গরুর গোবর চাষিদের কাছে আশীর্বাদ। পর্যাপ্ত গরুর গোবর দিতে পারলে সবজিক্ষেতে রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হয় না বললেই চলে। শীতকালে বেশিরভাগ তাজা গোবরই ঘুঁটে তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। জ্বালানি হিসেবে বেশ। ঘুঁটের ছাই আমরা ক্ষেতের পোকামাকড় তাড়াতে ব্যবহার করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৭
এআর/টিসি