১৮ বছর ধরে পলাতক ফোরকানকে সোমবার (০৯ জানুয়ারি) সকালে নগরীর রুবিগেইট এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মঈনউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম।
পুলিশ পরিদর্শক মঈনউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পলাতক ছিল ফোরকান।
হাটহাজারী উপজেলার গুমানমর্দন ইউনিয়নের পশ্চিম ছাদেকনগর গ্রামের বাসিন্দা মো.সাইফুল আলম চৌধুরী (১৬) ১৯৯৮ সালে মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগে ওই বছরের ১২ জুন তাকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে ফোরকান।
ফোরকান সাইফুলের জ্যেঠাতো বোন বেবি আক্তারের ছেলে। তাদের বাড়ি একই উপজেলার ধলই গ্রামে। কিন্তু বেবি আক্তার তালাকপ্রাপ্ত হওয়ায় ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়ি পশ্চিম ছাদেকনগরে থাকেন।
সাইফুলের বড় ভাই আবুল কালাম বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার দিন সকালে মুরগির বাচ্চা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে ফোরকান সাইফুলকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করে। এরপর ফোরকান পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় আবুল কালাম বাদি হয়ে হাটহাজারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গত বছরের অক্টোবরে ওই মামলায় ফোরকান, তার মা বেবি আক্তার এবং মামা জাহাঙ্গীর আলমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। ফোরকানের বোন আনোয়ারা প্রকাশ খুরশীদাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আবুল কালাম বাংলানিউজকে বলেন, ২০০২ সাল থেকে আমাকে প্রথমে ঘর পোড়ানোর মামলা দেওয়া হয়। এরপর আরও ৫টি মামলা দেওয়া হয়। গত ১৮ বছর ধরে আমি এসব মামলায় আদালতে লড়ে যাচ্ছি।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.মঈনউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর ফোরকান বিদেশে পালিয়ে যায়। সাত বছর পর ফিরে আসে। এরপর পিকআপ কিনে ব্যবসা শুরু করে। সে পিকআপ মালিক সমিতির সহ সভাপতি পদে আছে।
ফোরকানকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিদর্শক মঈনউদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৭
আরডিজি/আইএসএ/টিসি