২০১৫ সালে এ বন্দরে পণ্যবাহী জাহাজ এসেছিলো ১১শ ৯৩টি। আর কন্টেইনার ওঠানামা করেছে ২০ লাখ ২৪ হাজার।
গত বছর চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং হয়েছে ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ৯০৯ টিইইউএস।
চলতি বছরে প্রবৃদ্ধি মোকাবেলায় সক্ষমতা অর্জন করতে না পারলে থমকে যেতে পারে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম এমনটাই আশঙ্কা করছেন খোদ বন্দরের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় দ্রুত ইয়ার্ড নির্মাণের তাগিদ দিয়েছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। তারা বলছেন, জেটির পরিমাণ বেশি হলে জাহাজের গড় অবস্থান সময় যেমন কমতো, জাহাজ আসার সংখ্যাও বাড়তো।
দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দরের কর্মকর্তারা বলছেন, এই বন্দরে যে হারে প্রবৃদ্ধি বাড়ছে সে হিসেবে প্রতি বছর একটি করে কন্টেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ করা প্রয়োজন ছিল। অথচ বিগত ৭ থেকে ৮ বছরে কোন টার্মিনাল নির্মাণ হয়নি। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে দ্রুত বে-টার্মিনাল নির্মাণের প্রতি জোর দিয়েছেন তারা।
চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (পরিবহন) গোলাম সরওয়ার বাংলানিউজকে বলেন, বন্দরে যে হারে প্রবৃদ্ধি বাড়ছে তা মোকাবেলায় প্রয়োজন বছরে অন্তত একটি টার্মিনাল নির্মাণ করা। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে একটি টার্মিনালও নির্মাণ হয়নি।
চলতি বছরে কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ করতে না পারলে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা অনেক কঠিন হয়ে যাবে বলে মনে করছেন তিনি।
বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নুরুল কাইয়ুম খান বাংলানিউজকে বলেন, বন্দরের প্রবৃদ্ধি মোকাবেলা এবং সরকারের উন্নয়ন পলিসি ধরে রাখতে হলে সক্ষমতা বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, সড়ক পথের যানজট এড়াতে নৌ-পথ ও রেলপথে পণ্য পরিবহন বাড়াতে হবে। বন্দরের গতিশীলতা না আসা পর্যন্ত বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে পারে।
বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক (বন্দর ও কাস্টমস) খায়রুল আলম সুজন বাংলানিউজকে বলেন, আধুনিক যন্ত্রপাতি না বাড়ালে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হবে। তাই দ্রুত যন্ত্রপাতি বাড়াতে হবে।
বন্দর থেকে সরাসরি পণ্য ডেলিভারি না দিয়ে ওয়্যারহাউজ থেকে ডেলিভারি দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করলেও বন্দরের উপর চাপ কমতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি কাস্টমসের শতভাগ কায়িক পরীক্ষা কমানো ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় বন্দর সচলে ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৭
এমইউ/টিসি