ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ফলাফল ফাঁসে জড়িত কলেজিয়েটের দুই শিক্ষকও

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৭
ফলাফল ফাঁসে জড়িত কলেজিয়েটের দুই শিক্ষকও চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল

চট্টগ্রাম: সরকারিভাবে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের ৫ম শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ২১ তারিখ রাত সাড়ে ১২টায় প্রকাশ করা হয়। কিন্তু এর আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে সেই ফলাফল।

জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর হওয়ার আগেই ফলাফল ফাঁস হওয়ায় চারপাশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এর প্রেক্ষিতে তদন্তে নেমে জেলা প্রশাসন বের করেছে ফলাফল ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের।

সেই তদন্তে স্বয়ং কলেজিয়েট স্কুলের দুই শিক্ষকের নামও এসেছে। স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন ও সহকারী শিক্ষক (গণিত) আনিছ ফারুকের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

পাশাপাশি স্কুলের উচ্চমান সহকারী মো. ফারুক আহমেদ ও কম্পিউটার অপারেটর  রিদুয়ানুল হককেও ফলাফল ফাঁসের জন্য দায়ী করেছে জেলা প্রশাসন।

এছাড়া ‘বাবলা স্যার কোচিং সেন্টারের’ পরিচালক বাবলা দে ও মামুন কোচিং সেন্টারের পরিচালক মামুনও এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত বলে প্রশাসনের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।

ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন স্কুলের কম্পিউটার অপারেটর রিদুয়ানুল হককে বরখাস্ত করেছে। পাশাপাশি স্কুলের চার শিক্ষক-কর্মচারী ও দুই কোচিং সেন্টারের পরিচালকের বিরুদ্ধে রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সদরঘাট থানায় মামলা করেছে জেলা প্রশাসন। যার মামলা নম্বর ২৩।

জেলা প্রশাসনের এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান স্বাক্ষরিত এই বিবৃতিতে বলা হয়, জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষরের আগেই ফলাফল প্রকাশের খবর বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত হয়। প্রকৃতপক্ষে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে ফলাফল প্রক্রিয়াকরণের পর জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষরের জন্য উক্ত কেন্দ্র থেকে নিয়ে আসা হলে উক্ত কেন্দ্রের কম্পিউটারে সংরক্ষিত সফ্ট কপি পুনরায় প্রিন্ট করে শিক্ষক-কর্মচারী ও কতিপয় অভিভাবকের সহায়তায় ‘বাবলা স্যার কোচিং সেন্টার’ এর পরিচালক বাবলা দে দে’কে সরবরাহ করা হয়। এছাড়া মামুন কোচিং সেন্টারের পরিচালক মামুনের সহায়তায় বাবলা দে ভর্তি পরীক্ষার বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে কম্পিউটার অপারেটর রিদুয়ানুল হককে ইতিমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন ও সহকারী শিক্ষক (গণিত) আনিছ ফারুক ও উচ্চমান সহকারী মো. ফারুক আহমেদের এ অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।

তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ফলাফল ও পরবর্তীতে সরকারিভাবে প্রকাশিত ফলাফল একই হওয়ায় ফলাফল স্থগিত বা বাতিল করা হচ্ছে না।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের বিবৃতিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ফলাফল ও পরবর্তীতে সরকারিভাবে প্রকাশিত ফলাফল একই। সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে এ ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে।

তাই এক্ষেত্রে অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট সকলকে বিভ্রান্ত না হতে অনুরোধ করেন জেলা প্রশাসক।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৭

টিএইচ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।