বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় ঘটিকায় বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে এই গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
দুদক আয়োজিত ৭৫ তম এই গণ শুনানিতে নগরীর আগ্রাবাদ ,দেওয়ানহাট, হালিশহরের বিভিন্ন ব্লক ও আবাসিক এলাকা, দক্ষিণ কাট্টলী, বন্দর, বাকলিয়া, রেয়াজউদ্দীন বাজার, লালখানবাজার চাঁনমারী রোড, পাঁচলাইশ, দামপাড়া, মেহেদীবাগ শহীদ মির্জা লেইন, বায়েজিদ, খুলশীসহ বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকরা ওয়াসার সেবা প্রদান সম্পর্কে তাদের অভিযোগ উত্থাপন করেন।
গ্রাহকরা পানির বিল পরিশোধ করেও পানি না পাওয়া, আগের তুলনায় অতিরিক্ত বিল হওয়া, বিভিন্ন স্থানে লিকেজ হওয়াসহ নানা বিষয়ে অভিযোগ করেন।
ওয়াসার পক্ষ থেকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ. কে. এম ফজলুল্লাহ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশল রতন কুমার সরকার ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক অর্থ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য্য খোকন উত্থাপিত অভিযোগের জবাব দেন।
তারা জানান ওয়াসা উক্ত সমস্যাসমুহের সমাধানের জন্য নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং যে সব এলাকায় পানির স্বল্পতা রয়েছে তা আগামী জুন মাসের মধ্যে সমাধান হবে বলে আশ্বস্ত করেন।
দুদক চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক আকতার হোসেনের সঞ্চালনায় গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন দুদক কমিশনার ড. নাসিরুদ্দীন আহমেদ।
তিনি বলেন, ওয়াসার সেবা প্রদানে যথেষ্ট আন্তরিকতা আছে এবং তারা চেষ্টা করে যাচ্ছে জনগনের প্রত্যাশা পূরন করতে। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে মৌলিক অধিকার হিসেবে জনগণের পানির অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
জনগণের সুবিধার্থে একটি হেল্প লাইন চালু করার এবং ‘আমি এবং আমার আফিস দুর্নীতিমুক্ত’ এই স্লোগানটি অফিসের বিভিন্ন প্রকাশ্য স্থানে লাগাতে পরামর্শ দেন।
এছাড়া দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য খালেকুজ্জামান, উইমেন্স চেম্বারের ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা মুস্তফা, টিআইবি চট্টগ্রামের এরিয়া ম্যনেজার তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাবের সভাপতি নাজের হোসেন বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
শুনানিতে ওয়াসার সচিব, বানিজ্যিক ব্যবস্থাপক, প্রধান প্রকৌশলীসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
টিএইচ/টিসি