রোববার বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন,‘সবসময় চিন্তা করেছি নিচতলার মানুষের কথা। আমি চাই গণমানুষ রাজনৈতিক ক্ষমতার অংশ হোক।
অর্থ বিত্তের চেয়ে চিত্তের প্রতি প্রাধান্য দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, মন বলেছে, চিত্তের কাছে সবসময় বিত্ত পরাজিত হয়। আমি সেটাই বিশ্বাস করি।
‘সেই বিত্ত এবং অর্থকে পরাজিত করার ফসল হলো ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি। কারণ চট্টগ্রাম ঘিরেই আমার স্বপ্ন। চট্টগ্রামে শিক্ষা বিস্তারে আমার স্বপ্ন ছিল। ’
পাঁচ মন্ত্রণালয়ে ১০ বছর দুই মাস মন্ত্রী ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি মন্ত্রী থাকা অবস্থায় আমার ছেলের পড়ালেখা শেষ। আমি তাকে বলেছি যতদিন মন্ত্রী আছি ততদিন তুমি কিছু করতে পারবে না। তোমাকে বেকার থাকতে হবে। কারণ এখন কোন কাজ করতে গেলেও সমস্যা হবে।
ঈদের সময় সবাই বঙ্গভবন ও গণভবনে যেতে আগ্রহী থাকলেও মন্ত্রী থাকা অবস্থায় তিনি কখনোই সেখানে যাননি জানিয়ে বলেন, প্রতিবার চট্টগ্রাম চলে এসেছি। কারণ আমি চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রামের মানুষকে নিয়ে চিন্তা করেছি।
নোমান বলেন,‘অষ্টম শ্রেণিতে রচনা লিখতে হতো- বড় হয়ে কি হতে চাও। যদিও তখন ভবিষ্যতে এমপি-মন্ত্রী হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই ছিল না। তবু তখন লিখেছিলাম মন্ত্রী হলে- দুর্নীতি, লুটপাট, অমানবিক কার্যক্রমে বাধা দেব। নিজে সেগুলো করব না। অর্থ-বিত্তের দিকে যাব না। ’
তিনি বলেন, এমপি হলাম, মন্ত্রীও হলাম। আমার সামনে দিয়ে সব গেছে। কিন্তু আজ আমি বলতে পারি অর্থ বিত্তের দিকে যাইনি। কারণ আমার কমিটমেন্ট ছিল শ্রমিক কৃষক মেহনতি মানুষের প্রতি। তাদের সমস্যা সমাধানের রাজনীতি। সেই রাজনীতি করতে গিয়ে নিজের বড় ভাইয়ের সঙ্গেও একমত হতে পারিনি।
নগরীর পূর্ব নাছিরাবাদ এলাকায় প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি ইস্ট ডেল্ডা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তাঁর সন্তান সাঈদ আল নোমান।
নান্দনিক স্থাপত্য কৌশল আর দৃষ্টি নন্দন ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সাংবাদিকদের পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে দেখান এবং বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে অবহিত করেন সাঈদ আল নোমান।
নিজের ছেলে সম্পর্কে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, অনেকে আমাকে বলে আপনি তো দলের বড় পদে আছেন। ছেলেকে রাজনীতিতে কোন একটা পদ নিয়ে দিলেই তো পারতেন। আমি তাদের বলি, সেলফ মেড মেন পছন্দ করি। যোগ্যতা থাকলে, আত্ম বিশ্বাস নিয়ে কাজ করে গেলে লক্ষ্যে পৌঁছবে।
বাংলাদেশ সময়: সময় ২১০২ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৭
এমইউ/টিসি