বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিবের কাছে পৌঁছাতে চট্টগ্রাম শ্রম পরিচালক মো. গিয়াস উদ্দিনের হাতে এই স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়।
স্মারকলিপি হস্তান্তরের আগে লাল পতাকা মিছিল নিয়ে শ্রম দপ্তরের সামনে জড়ো হন ইউনিয়নের নেতা ও সদস্যরা।
সমাবেশে বক্তব্য দেন টি ইউ সি’র চট্টগ্রাম জলো সভাপতি তপন দত্ত, ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি সুজিত নাথ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, যুগ্ম সম্পাদক বনশ্রী বড়ুয়া, মো. মিজানুর রহমান, শাহ্নাজ আক্তার, কর্মী বড়ুয়া প্রমুখ।
বক্তারা আরও বলেন, সারা বাংলাদেশে ব্যক্তি মালিকানাধীন স্বাস্থ্য সেক্টর একটি গুরুত্বপূর্ন সেবা খাত হিসাবে প্রসার লাভ করেছে। ঢাকা চট্টগ্রামসহ সকল জেলা শহর এমনকি উপজেলা পর্যন্ত ব্যক্তি মালিকানাধীন হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সেবা বিস্তার লাভ করছে। উপরোক্ত সেক্টর কর্মসংস্থান ও স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করছে। চট্টগ্রামে এই সেক্টরে বিভিন্ন পদের অন্তত এক লাখ শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করছে। বড় বড় হাসপাতাল ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীর সংখ্যা প্রতিটির অন্তত ৫০০ জন করে। কিন্তু সারা দেশে লাখ লাখ শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করলেও এই সব শ্রমিক কর্মচারীদের কোন ধরনের মজুরি কাঠামো নির্ধারিত নেই।
তারা বলেন, এই সুযোগে এই সেক্টরের মালিকরা যাকে যেমন পারে মজুীর/বেতন দেয়। শ্রম আইনে শ্রমিকদের স্বীকৃত অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করে, নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিসবুক, বোনাস,গ্রাচুয়িটি/ক্ষতিপূরণ সবেতন ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি কোন কিছুই প্রদান করা হয়না।
এ অবস্থায় শ্রমিকদের নিম্মতম মজুরি/বেতন কাঠামো যেমন থাকা প্রয়োজন তেমনি শ্রম আইনানুগ অধিকার সমূহের যথাযথ পালিত ও প্রয়োগ করা দরকার বলে তারা মত প্রকাশ করেন।
তারা বলেন, নিম্মতম মজুরী কাঠামো নির্ধারনের জন্য শ্রম আইনের (২০০৬ সংশোধন ২০১৩) ১৩৯ ধারা অনুযায়ী ব্যক্তি মালিকানাধীন স্বাস্থ্য খাতের শ্রমিকদের জন্য ন্যুনতম মজুরি, বোনাস ও শ্রম আইন অনুযায়ী অন্যান্য সুবিধাসহ বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধির হার নির্ধারনের একটি ত্রিপক্ষীয় কমিটি গঠন করে কমিটিতে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি রাখা হোক।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৭
টিএইচ/টিসি