তিনি বলেন, দেশে পদ্মা সেতুসহ এমন কোনো বড় প্রকল্প নেই যেখানে প্রিমিয়ার সিমেন্টের উপস্থিতি নেই।
বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম ক্লাবের অডিটোরিয়ামে প্রিমিয়ার সিমেন্ট লিমিটেডের ১৬তম বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, লিস্টেড কোম্পানির জবাবদিহির দিন এজিএম। তাই পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে এসেছি।
তিনি বলেন, আমি কোম্পানি থেকে পারিশ্রমিক নিইনি। মোবাইলের বিল নিইনি। আমি চাই কর্মসংস্থান সৃষ্টি হোক। প্রতিষ্ঠানটি দেশের অগ্রগতির কাজে আসুক। আমরা যত পুরস্কার পেয়েছি তার মালিক আমাদের কর্মী, গ্রাহক ও বিনিয়োগকারী।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সিএসইর এমডি মো. সাইফুর রহমান মজুমদার, প্রিমিয়ার সিমেন্টের পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. এরশাদুল হক, তারিক আহমেদ, উপদেষ্টা আবুল কালাম, ফখরুল ইসলাম, হাসনাত মো. আবু ওবায়দা, সিএফও শফিকুল ইসলাম তালুকদার, সচিব কাজী শফিকুর রহমান, গ্রুপ অডিটর সেলিম রেজা প্রমুখ।
মোহাম্মদ আমিরুল হক বলেন, লিস্টেড কোম্পানিতে মালিকদের অনীহা কেন-বুঝতে হবে। বিনিয়োগকারীদের পজেটিভ রোল দরকার। যারা স্বচ্ছতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান চালায় তাদের সহযোগিতা করতে হবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে। শেয়ারের দাম বাড়ল কেন, কমলো কেন এসব প্রশ্নের জবাব দেব, নাকি ব্যবসা করব? আমরা দেশকে এগিয়ে নিতে নিরলস কাজ করছি।
পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শেয়ারহোল্ডারদের একটি দিন এজিএম। কারখানার এক বছরের কার্যক্রম বার্ষিক প্রতিবেদনে উঠে আসে। যা এজিএমের ১৫ দিন আগে শেয়ারহোল্ডারদের কাছে পাঠিয়েছি।
তিনি বলেন, কোম্পানি বড় হচ্ছে। প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা নতুন বিনিয়োগ করতে হচ্ছে। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ কোম্পানিকে দিতে হবে। বাকিটা ঋণ নেওয়া যায়। প্রফিট ভালো হলে ডিভিডেন্ট ভালো দেওয়া হবে।
সভায় ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন হয়। এ ছাড়া প্রিমিয়ার সিমেন্টের অধীনে থাকা ন্যাশনাল সিমেন্টে ৪০ শতাংশ শেয়ার থেকে ২৫ শতাংশ বিক্রির সিদ্ধান্ত অনুমোদন হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮
এআর/এসি/টিসি