বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘আমি কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীকে অসমানভাবে দেখতে রাজি নই।
তিনি বলেন, ‘আমার বাবা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীও অনেক সময় অনেক রাজনৈতিক ঘটনায় কারাগারে গেছেন। তিনি কখনও দণ্ডিত হন নাই। বছরের পর বছর তিনি কারাগারে ছিলেন। এক এগারোর সময়ে দুই বছর দণ্ড ছাড়া কারাগারে ছিলেন। ছোটবেলায় এরশাদের আমলে দেখেছি, বাবাকে চোখে কাপড় বেঁধে এক কারাগার থেকে আরেক কারাগারে নিয়ে যাওয়া হতো।
নওফেল বলেন, ‘এদিক থেকে একজন ব্যক্তি হিসেবে বলতে চাই তার পরিবার যদি অশান্তিতে থাকে তাহলে বিএনপির প্রার্থীর পরিবারের প্রতি আমি সমব্যথী। কিন্তু তিনি ব্যক্তি হিসেবে কী দোষে দুষ্ট, কী দণ্ডে দণ্ডিত হবেন-নাকি বেকসুর খালাস পাবেন সে বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। ’
আরেক প্রশ্নের উত্তরে ব্যারিস্টার নওফেল বলেন, ‘বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশে অন্তত ৪০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে। অনেক প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা আমি দেখেছি। আর বিএনপি প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা চোখে না পড়লে তাদেরকে বলুন প্রচারণা বাড়িয়ে করতে। ’
তিনি বলেন, ‘ঘরে ঘরে বিএনপি প্রার্থীর স্টিকার দেখছি, যেটা আচরণবিধি ভঙ্গ হয়। পোস্টারে দলীয় প্রধানের ছবি দেওয়া আছে, সেটা নিয়েও প্রশ্ন আছে। আমরা সেসব নিয়ে কোনো অভিযোগ করছি না। ’
সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, চট্টগ্রাম-৯ আসন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সদস্য সচিব জহিরুল আলম দোভাষ, নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, উপ-দফতর সম্পাদক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৮
এসকে/এসি/টিসি