বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন তারা।
এর মধ্যে বিকেল ৪টায় নগরের মেহেদীবাগের নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেন চট্টগ্রাম-১১ আসনে বিএনপির প্রার্থী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিকেল সাড়ে ৫টায় বাদশামিয়া সড়কের নিজ বাসায় চট্টগ্রাম-৯ আসনে বিএনপির প্রার্থী কারাবন্দী ডা. শাহাদাতের পক্ষে মা শায়স্তা খানম ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে প্রেস ক্লাবে চট্টগ্রাম-৫ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম সংবাদ সম্মেলন করেন।
নির্বাচনে জিততে সরকারের নির্বাচনী প্রকল্প
আমীর খসরু অভিযোগ করেন, সরকার নির্বাচনে জিততে ‘নির্বাচনী প্রকল্প’ হাতে নিয়েছে। এরেই অংশ হিসেবে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, প্রার্থীর ওপর হামলা ও কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের নাটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রকল্প এখানেই শেষ হবে না। সামনে দেখবেন বিএনপির প্রার্থী কিংবা নেতাকর্মীদের গাড়িতে সিল মারা ব্যালট পেপার পাবে পুলিশ।
আমীর খসরু বলেন, এরকম ঘটনাবহুল নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে আর হয়নি। মনে হচ্ছে আমাদের নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো দল নয়, সরকার। কারণ সরকারের সংস্থাগুলো আওয়ামী লীগের পক্ষে নিয়ে কাজ করছে। আওয়ামী লীগ সব সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করছে।
আড়াই কোটি নতুন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে উন্মুখ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর জনগণের বিজয় হবে। ওইদিন এদেশের মানুষ বেরিয়ে আসবে, ব্যালটের মাধ্যমে সরকারের জুলুম, নির্যাতন, অন্যায়ের জবাব দেবে।
আমীর খসরু বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে বিএনপি এখনও পর্যন্ত ক্ষমতায় আছে। সবচেয়ে বড় কথা কি জানেন? আওয়ামী লীগ এমন মিথ্যা কথা বলছে, এদের কথা এখন কেউ বিশ্বাস করে না। নির্বাচনকে নিয়ে সরকার দেশে কি করছে তা দেশবাসী থেকে শুরু করে জাতিসংঘ এবং বিশ্বের সব দেশের কাছে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।
আমি ছাড়া আর কেউ নেই
চট্টগ্রাম-৯ আসনে বিএনপির প্রার্থী কারাবন্দী ডা. শাহাদাত হোসেনকে ভোট দিয়ে মুক্ত করতে বললেন মা শায়স্তা খানম।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, শাহাদাতের জন্য কে ভোট চাইবে? সবাইকে-তো পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে। শুধু আমিই আছি। তাকে ভোট দিন আর গণতন্ত্র মুক্ত করে নিজের অধিকার ফিরিয়ে নিন।
স্বয়ং প্রার্থী-ই দুইবার হামলার শিকার
চট্টগ্রাম-৫ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেছেন, তার নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা করতে গেলে দুইবার হামলার শিকার হয়েছেন। পুলিশ প্রশাসন ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দিলেও তিনি কোনো প্রতিকার পাননি।
আবদুল্লাহ আল নোমানের ফেসবুক প্রচারণা
এদিকে চট্টগ্রাম-১০ আসনে বিএনপির প্রার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করছেন মন্ত্রীত্ব থাকাকালীন তার অবদানের কথা। দুটি ভিডিও’র মধ্যে তিনি ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড স্থাপন ও চট্টগ্রামে ৩য় কর্ণফুলী সেতুর নির্মাণ-পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে অবদানের কথা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ সময়:২০২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮
জেইউ/টিসি