ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভোটের টানে মাঝরাতেও ঘরমুখো মানুষের ঢল

মিজানুর রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৮
ভোটের টানে মাঝরাতেও ঘরমুখো মানুষের ঢল ভোটের টানে মাঝরাতেও বাস কাউন্টারে ঘরমুখো মানুষের ঢল। ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। বাঙালির কাছে ভোট মানেই উৎসব। সেই উৎসবের সঙ্গী হতে ভোটের টানে মাঝরাতেও ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় নগরের বাস কাউন্টারগুলোতে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত নগরের সিনেমা প্যালেস, স্টেশন রোড ও অলঙ্কার মোড় বাস কাউন্টার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সাধারণত দুই ঈদ ছাড়া বাস কাউন্টারগুলোতে তেমন ভিড় না থাকলেও এবার নির্বাচন উপলক্ষে মানুষের ঢল নেমেছে।

নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঘরমুখো মানুষ ভিড় করছেন কাউন্টারে কাউন্টারে।

ভোটের টানে মাঝরাতেও বাস কাউন্টারে ঘরমুখো মানুষের ঢল।                                             <div class=

ছবি: উজ্জ্বল ধর" src="https://www.banglanews24.com/media/imgAll/2018October25/bg/bnctg-night-photo-720181228032021.jpg" style="margin:1px; width:100%" />এস আলম কাউন্টারের কর্মকর্তা জহির উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, সাধারণত সিনেমা প্যালেস থেকে রাতে এস আলম পরিবহনের ৪টি বাস কক্সবাজার ও টেকনাফের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। তবে নির্বাচন উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের চাপ থাকায় এখন রাতেই ৮টি বাস রেখেছি আমরা।

সৌদিয়া কাউন্টারের কর্মকর্তা আবুল কাশেম বাংলানিউজকে জানান, নির্বাচন উপলক্ষে যাত্রীর চাপ যে পরিমাণ বাড়বে বলে ধারনা করেছিলাম, তার চেয়েও বেশি। তাই যাত্রী সামলাতে একটু হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারপরেও চেষ্টা করছি সবাইকে টিকিট দেওয়ার। এ জন্য গাড়ির সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।

দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুর রহিম। তিনি বাংলানিউজকে জানান, ভোট মানেই উৎসব। জাতীয় নির্বাচনের ভোট হলে তো কথায় নেই। তাই ভোট উৎসবের সঙ্গী হতে বাড়ি যাচ্ছি।

টেকনাফের জালিয়াপালং এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহিম আরও জানান, ভোট গ্রহণ অবাধ ও সুষ্ঠু হোক এটাই চাই। কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই নিজের ভোটটা নিজে দিতে চাই। আশা করি উৎসবমুখর পরিবেশেই ভোট দিতে পারবো। এ জন্য ঝামেলা এড়াতে একদিন আগেই বাড়ি ফিরছি।

তবে তার পাশে দাঁড়ানো টেরিবাজারের কাপড়ের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, কখনও কখনও একটি ভোটও একজন প্রার্থীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। রাজনৈতিক সচেতন মানুষ হিসেবে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে চাই। যিনি মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত এলাকা গড়তে কাজ করবেন তাকেই ভোট দেবো। এ কারণে মাঝরাতেই তীব্র শীত উপেক্ষা করে ভোট দিতে বাড়ি যাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ০৩০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৮
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।