নগরের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ, আসাদগঞ্জ, হাজারী লেইন এলাকার ব্যবসায়ী সহ জুয়েলারি দোকানের মালিকরা সকালে এ হালখাতা লিখে পুরনো বছরের দেনা-পাওনার হিসাব সমন্বয় করে নিয়েছেন। গ্রাহকদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন পাওনা পরিশোধের কথা।
একসময় ‘হালখাতা কার্ড’ পাঠিয়ে হালখাতার মহরৎ অনুষ্ঠানে আসার আমন্ত্রণ জানানো হতো। সিদ্ধিদাতা গণেশ ও ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মীর পূজা শেষে সিন্দুর দিয়ে স্বস্তিকা চিহ্ন অঙ্কিত ও চন্দন চর্চিত খাতায় নতুন বছরের হিসেব শুরু করা হতো। কালের বিবর্তনে বাঙালির এ আয়োজন হারিয়ে যাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির সময়টাতে অনলাইন ও মোবাইল ব্যাংকিং, ক্রেডিট-ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে চলে লেনদেন। এখন হিসেবও রাখা হয় ইংরেজী মাসের ওপর ভিত্তি করে।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী আশুতোষ সরকার বাংলানিউজকে বলেন, পুরো চট্টগ্রামে ৫০ শতাংশের মতো ব্যবসায়ী হালখাতা খুলে ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। আধুনিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবসায়িক সংস্কৃতিতে ভাগ বসিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৯
এসি/টিসি