ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নাগরিক সেবায় চসিকই একমাত্র অভিভাবক: মেয়র নাছির

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
নাগরিক সেবায় চসিকই একমাত্র অভিভাবক: মেয়র নাছির বক্তব্য দেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

চট্টগ্রাম: নগরবাসীর  নাগরিক সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনই (চসিক) একমাত্র অভিভাবক উল্লেখ করে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, নগরবাসীর জন্য সর্বোচ্চ সেবা দিতে চসিক দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। সেবার মান  বাড়াতে পৌরকর আদায়ের মাধ্যমে চসিকের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) চসিকের কেবি আবদুস সাত্তার মিলনায়তনে শহরে দরিদ্র সম্প্রদায়ের জীবনমান ও জীবিকা উন্নয়ন শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মেয়র।

পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল ওয়াজেদ, ভারতের আইপিই গ্লোবাল প্রজেক্ট ম্যানেজার শ্রীপর্ণা সান্যাল আইয়ার, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার মোহাম্মদ সরওয়ার হোসেন খান,কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, ছালেহ আহমদ চৌধুরী, মো. আজম, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, সাংবাদিক ইফতেখারুল ইসলাম, সমাজকর্মী সাহেলা আবেদীন, সিডিসির সভাপতি আনোয়ারা আলম, ফেডারেশনের সভাপতি রেখা আকতার প্রমুখ বক্তব্য দেন।

মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে ১৪ লাখ ৪০ হাজার দরিদ্র মানুষ বাস করছে যা অন্য শহরে নেই। দিনের পর দিন এদের সংখ্যা বাড়ছে।

এদের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা দিতে সিটি করপোরেশন হিমশিম খাচ্ছে। চট্টগ্রাম শহরের কাছে এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে ভাসমান মানুষের পুনর্বাসন করা যাবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামকে বাসযোগ্য, ক্লিন ও গ্রিন সিটি করার লক্ষ্যে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

সিটি করপোরেশনের নানা উন্নয়ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে মেয়র বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো উন্নয়নে সিটি করপোরেশনের অবদান বহু গুণে বেড়েছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সিটি করপোরেশনের ভর্তুকি দিনের পর দিন বাড়ছে। নগরে সিটি করপোরেশন পরিচালিত ৪৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে, এর মধ্যে ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থী বিনা বেতনে অধ্যয়ন করছে। অনেকে ভর্তি ফি ছাড়াও আমার সহযোগিতা নিয়ে ভর্তি হয়েছে। এত সেবা দেওয়ার পরেও নগরবাসীর আশানুরূপ সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। পৌরকর না দেওয়ার জন্য নানা ধরনের তদবির করে।  

তিনি বলেন, শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দিতে পারলে গ্রামের মানুষ শহরে আসবে না। অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে শহরের পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করা যাচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলারও অবনতি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।