তাসফিয়ার বড় আপু সুলতানা একরাম মহসিন কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজে চতুর্থ বর্ষে অধ্যায়নরত। বাবা-মার পাশাপাশি তাসফিয়া সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা পেয়েছে তার আপুর কাছ থেকে।
তাসফিয়া বাংলানিউজকে জানায়, আপু এসএসসি ও এইচএসসি দু’টিতেই ভালো ফলাফল করে কক্সবাজারে মেডিক্যালে চান্স পান। তার সাহস আর অনুপ্রেরণা পেয়েছি। আমি দেখেছি আপুকে দিনরাত বইয়ের পেছনে পড়ে থাকতে। ঠিকমতো খেতেনও না, সারাক্ষণ বই নিয়ে পড়ে থাকতেন। আর আমাকে পড়ার জন্য তাগিদ দিতেন।
‘এ বিষয়টি আমাকে সাহস জুগিয়েছে। আমি বুঝতে পেরেছি গুছিয়ে পরিশ্রম করলে কোনো পরিশ্রম বৃথা যায় না। বাবা-মার ইচ্ছে আমিও ডাক্তার হবো, সেই আশা আমি পূরণ করবোই। ' বলে তাসফিয়া।
সানজিদা রহমান মিমও এ স্কুল থেকে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে। তবে তার ইচ্ছে সে একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী হবে।
সানজিদা বাংলানিউজকে বলে, স্কুলের শিক্ষকরা অনেক বেশি আন্তরিক। ক্লাসের পড়া ক্লাসে শেষ করা। নিয়মিত ক্লাস টেস্ট ও দক্ষ পরিচালনার কারণে আমরা ভালো ফলাফল করেছি। বাবা-মার পরিশ্রম যেমন ছিলো, শিক্ষকদের অবদানও কোনো অংশে কম নয়।
ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহেদা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, এবারের জেএসসি পরীক্ষায় ৩২৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। সবাই পাস করেছে। এ প্লাস পেয়েছে ২৭৮ জন।
এদিকে সরকারি কলেজিয়েট স্কুল, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি উচ্চবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়েও শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙা উল্লাস দেখা গেছে।
কলেজিয়েট স্কুল থেকে জিপিএ -৫ পাওয়া ছাত্ররা জানায়, ফলাফল সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করবে। এসএসসি ও এইচএসসিতে ভালো রেজাল্ট করে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে তারা পৌঁছতে চেষ্টা করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
জেইউ/টিসি