তিন অক্ষরের ছোট্ট একটি শব্দ-বিদায়। মাত্র তিন অক্ষর।
বছরের শেষদিনের রক্তিম সূর্যাস্ত গেলেই হারিয়ে যাবে ঘটনাবহুল বছর ২০১৯। উল্টে যাবে ক্যালেন্ডারের শেষ জীর্ণ পাতা। বুধবারও (১ জানুয়ারি) সূর্য ওঠবে। আসবে নতুন পাতা্, নতুন বছর ২০২০। জগতের এটাই যেন শাশ্বত রীতি।
বছরের শেষ সূর্য দেখতে নগরের পতেঙ্গার সি-বিচে পর্যটকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে অন্য এক আবহ সৃষ্টি হয় সেখানে। তবে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ-তরুণীরা সি-বিচকে প্রাণবন্ত করে অন্যরকম উচ্ছলতায়। রোদের মতই ঝলমল করছিল ওইসব তারুণ্যের প্রাণময়তা।
প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রমিলা দে ও অনুপম বিশ্বাসও সি-বিচে এসেছেন বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে।
প্রমিলা দে বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৯ সালের শুরুতে আমাদের বন্ধুত্ব। কিছু ভুল-ত্রুটি ছাড়া এই একটি বছর ভালোই কেটে গেল। নতুন বছরেও এভাবে কাটুক আমাদের জীবন।
অনুপম বিশ্বাস বলেন, আগের বছরের সকল দুঃখ-গ্লানি ভুলে যেতে চাই। এই বছরে অনেক প্রত্যাশা ও অনেক কমিটমেন্ট বাস্তবায়ন করতে চাই। আশা করি সব পূরণ হবে।
একই প্রত্যাশা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ছাত্রী পারভিন আক্তার, চট্টগ্রাম কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী তাহসিনা হোসাইন চৌধুরী, চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী ফারহানা আক্তার তানিয়ার।
নগরের বহদ্দারহাট থেকে সন্তানদেরকে নিয়ে এসেছেন ব্যাংকার আবুল কাশেম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, নতুন বছরে এটাই প্রত্যাশা যেন রাজনীতিক পরিস্থিতি অনুকূলে থাকে। কোনোরকম যেন অস্থিরতা ও সহিংসতা না হয়। দেশ এগিয়ে যাক-এই প্রত্যাশায় নতুন বছরটি কাটুক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
জেইউ/টিসি