বুধবার (০১ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ নির্বাচন নিয়ে জেলা-উপজেলা নির্বাচন অফিসারদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
কে এম নুরুল হুদা বলেন, এপ্রিল মাস রমজানের মাস, সঙ্গে এইচএসসি পরীক্ষাও রয়েছে।
চট্টগ্রাম-৮ আসনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, ইভিএম’র বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ নেই। ইভিএম’র মাধ্যমেই নির্বাচন করা হবে। কারণ আমরা দেখেছি, পূর্বে ইভিএম’র মাধ্যমে যেসব নির্বাচন করা হয়েছে তাতে ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে। তাছাড়া এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন করলে ভোটাররা সঠিকভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।
বিএনপি’র পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা শতভাগ বিশ্বাস করি যে, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করবে এবং প্রতিযোগীতামূলক নির্বাচন হবে। এখানে অন্য কারো আশঙ্কা প্রকাশ করার কোনও কারণ নেই।
মতবিনিময় সভায় রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান কে এম নুরুল হুদা।
তিনি বলেন, আজকের সভায় দুটো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে একটি রোহিঙ্গাদের ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া কিভাবে বন্ধ করা যায়। বিষয়টি কিভাবে প্রতিহত করা যায় সে ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।
তাছাড়া রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে যে মামলা হয়েছে তার তদন্ত চলছে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের অধিকাংশই আউটসোর্স স্টাফ। আমাদের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেও কর্মকর্তারা এ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল- এমন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে কোথাও কোথাও এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা রোহিঙ্গা হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে তাদেরকে সনদ দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২০
এমএম/এসি/টিসি