সামনে এগিয়ে যেতেই বললেন- সবার প্রথমে ভোট দিতে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন তারা। সকালে ভোট কেন্দ্রের গেইট না খুললেও তারা এসে দাঁড়িয়ে ছিলেন গেইটের সামনে।
ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাদের পরে লাইন ধরতে বললেও তারা দুইজনই নাছোড়বান্দা। বললেন- সবার প্রথমে ভোট দেবেন।
মো. ইউসুফ বহদ্দারহাট বাড়ইপাড়া ওমরআলী মাতব্বর রোড এলাকার বদিউর রহমানের ছেলে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, জীবনে অনেক ভোট দিয়েছি। কিন্তু সবার প্রথমে কখনও ভোট দিতে পারিনি। গতকাল থেকে চিন্তা করেছি আজকে সবার প্রথমে ভোট দিব। তাই ফজরের নামাজের পর থেকে প্রস্তুত হয়ে ছিলাম।
তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৭টায় কেন্দ্রে চলে এসেছি। আমি যখন আসি তখন শুধু পুলিশ এসেছে কেন্দ্রে।
সকাল ৯টায় ভোট শুরু হলে মো. ইউসুফকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। প্রথমে ভোট দিতে পেরে নিজের আনন্দের কথা ব্যক্ত করলেন মো. ইউসুফ।
ভোটের লাইনে ইউসুফের পেছনে ছিলেন মো. ইদ্রিস। তিনি বলেন, খুব আগ্রহ নিয়ে ভোট দিতে এসেছি। ভোট দিয়েছি। খুব খুশি লাগছে।
এখলাছুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৩টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ৬ হাজার ৪৭৮ জন। আটটি বুথে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশে পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া পুলিশের মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্সও কাজ করছে।
সকাল সোয়া ৯টায় কেন্দ্রে আসেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর কোনো কিছু ঘটেনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
এসকে/এসি/টিসি