বিশ্বব্যাংক, বাংলাদেশ সরকার ও চট্টগ্রাম ওয়াসার যৌথ অর্থায়নে প্রায় ১৮শ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালে। এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম শহরে বিশুদ্ধ পানির সমস্যা সমাধান হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে ২০১৮ সালের নভেম্বরে পরীক্ষামুলক ভাবে চালু হয় এ পানি শোধনাগারটি। হালদা নদী থেকে পানি তুলে ৬টি ধাপে পানি পরিশোধন শেষে সরবরাহ লাইনে দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা হালদা নদী থেকে পানি উত্তোলন করি। তারপর এ পানি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষা করে কি পরিমাণ কেমিক্যাল মেশাতে হবে তা ঠিক করি। ক্যামিক্যাল মেশানোর পর ৬টি ধাপে পানি শোধন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, পানি শোধন শেষে সরবরাহ লাইনে দেওয়ার আগে আমরা ল্যাবে আবারও পরীক্ষা করি। এতে পানির সব মান ঠিক আছে কিনা যাচাই করা হয়। পরে তা সরবরাহ লাইনে দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম শহরে পানির চাহিদা রয়েছে ৪২ কোটি লিটার। আর আমাদের সক্ষমতা রয়েছে ৩৬ কোটি লিটার।
এর মধ্যে শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার থেকে ১৪ কোটি, মোহরা পানি শোধনাগার থেকে ৯ কোটি, শেখ রাসেল পানি শোধনাগার থেকে ৯ কোটি এবং নলকূপ থেকে ৪ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমাদের যে সংযোগ রয়েছে এতে প্রায় ৯৫ শতাংশ লোক পানি পায়। আর যে কয়েক শতাংশ লোক পানি পায় না তা পাইপ লাইনের ত্রুটির কারণে। তাছাড়া পাইপগুলো অনেক পুরোনো হওয়ায় সম্পূর্ণ প্রেসারে আমরা পানি সরবরাহ করতে পারি না।
‘ত্রুটিপূর্ণ পাইপলাইন অপসারণ করে নতুন সংযোগ বসানোর প্রক্রিয়া চলছে। আশা করছি ২০২১ সালের পরে আমার চট্টগ্রামবাসীকে সম্পূর্ণ প্রেসারে পানি সরবরাহ করতে পারবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২০
এমএম/টিসি