ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চসিক নির্বাচন 

করোনা অভিশাপের হলেও কারো জন্য হয়ে ওঠে আশীর্বাদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২০
করোনা অভিশাপের হলেও কারো জন্য হয়ে ওঠে আশীর্বাদ রেজাউল করিম চৌধুরী, আ জ ম নাছির উদ্দীন, খোরশেদ আলম সুজন, ডা. শাহাদাত হোসেন।

চট্টগ্রাম: ২০২০ সালের শুরুতেই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছিল নগরজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। কে হচ্ছেন চট্টগ্রামের নগরপিতা তা নিয়ে ছিল জল্পনা-কল্পনা।

 

২৯ মার্চ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হলেও পুরো প্রস্তুতিতে ছাই ঢেলে দেয় করোনা। পিছিয়ে যায় নির্বাচন।

কারো জন্য করোনা অভিশাপের হলেও কারো জন্য তা হয়ে ওঠে আশীর্বাদ। নির্বাচনের দোলাচলে সব প্রার্থী যখন দুলছেন, মধ্যে ছক্কা হাঁকালেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

রেজাউল করিমের মেয়র প্রার্থী হয়ে ওঠা 

চসিক নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে নেতাকর্মীদের দৌড়ঝাঁপ কম হয়নি। কিন্তু দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভায় তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। তবে রেজাউল করিম রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও আলোচনায় ছিলেন না কখনোই। তাই দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর অভিনন্দন জানাতে রেজাউল করিমের ছবি খুঁজে পেতে বিড়ম্বনা পোহাতে হয়েছে ভক্তকুলের।  

নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার পর করোনাকালীন সময়ে সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন যখন ছুটছেন নগরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে, তখন রেজাউল করিম প্রতিষ্ঠা করেন ‘মুক্তি আইসোলেশন সেন্টার’। সেখানে সেবা পেয়েছেন করোনা আক্রান্ত অনেক রোগী। পাশাপাশি তিনি ব্যক্তি উদ্যোগে দিয়েছেন ত্রাণ সহায়তা। বিতরণ করেছেন করোনা সুরক্ষা সামগ্রী।

সুজনের প্রশাসক হয়ে ওঠা 

করোনার অভিশাপের আগুনে যখন পুড়ছেন রেজাউল তখন আশীর্বাদ নেমে আসে খোরশেদ আলম সুজনের ওপর। চসিক কার্যকরী পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ৪ আগস্ট নিয়োগ দেওয়া হয় প্রশাসক। সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে বিকল্প হিসেবে ছয় মাসের জন্য বসানো হয় প্রশাসক। চেয়ারে বসেই  সুজন ধরিয়ে দিলেন নানান অসঙ্গতি। সেই সঙ্গে গণমাধ্যমেও সরব ছিলেন তিনি।

বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপির মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পান নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। এবারের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থীকে শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে মানতে নারাজ তিনি। নির্বাচন নিয়ে  সাজিয়েছেন পরিকল্পনা। করোনাকালে বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে ত্রাণ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী দিয়েছেন ভোটারদের হাতে।

পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন 

সর্বশেষ সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচন ও কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এ বছর। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের ঘটনা এসেছে আলোচনায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২০
এমএম/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।