চট্টগ্রাম: কথামালা, গান, স্মৃতিচারণা, ছড়া-কবিতার ছন্দ সুরের মেলা আর গ্রামবাংলার পিঠাপুলির আয়োজনে হয়ে গেল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) পিঠা উৎসব।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নগরের লালদীঘি পার্কে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
সুজন বলেন, ফেব্রুয়ারি মাস বাঙালির ভাষার অধিকার আদায়ের মাস। একুশের চেতনাকে ধারণ করে আমাদের আজকের এ স্বাধীনতা।
মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি এখন সংস্কৃতি বিবর্জিত। ৬০-৭০ এর দশকের রাজনীতিতে যুক্ত কর্মীরা সংস্কৃতির চর্চাও করেছেন। যে কারণে তাদের মনন জগতে গুণগত পরিবর্তন হয়েছিল। বাংলা ও বাঙালির যে মনন ও বাংলার যে সংস্কৃতি তার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
তিনি বলেন, প্রশাসক জ্যোৎস্না উৎসবের আয়োজন করেছেন। আগামীতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সংস্কৃতি চেতনাকে ধারণ করে এগোতে পারলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলা গড়া সম্ভব।
পিঠা উৎসবে কবিতা পাঠের পাশাপাশি আড্ডারও আয়োজন ছিল। ছিল ভাপা পিঠা, খেজুরের রস, ছাঁচ পিঠা , পাটিসাপটা, পাকন, তালের পিঠা, ছ্যাইনা পিঠা, চিতই পিঠা ইত্যাদি।
স্বরচিত ছড়া-কবিতা পাঠ করেন প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম, কবি খুরশিদ আনোয়ার, রাশেদ রউফ, খালিদ আহসান, শুক্লা ইফতেখার, সাথী দাশ, আনন্দমোহন রক্ষিত, হোসাইন কবির, আকতার হোসাইন, ইউসুফ মুহাম্মদ, বিজন মজুমদার, আবু মুসা চৌধুরী, নিশাত হাসিনা শিরিন, আবুল কালাম বেলাল, মনিরুল মুনির, তালুকদার আব্দুল হালিম, বিপুল বড়ুয়া, মোদাচ্ছের আলী, সাইফুদ্দিন সাকিব, লিটন কুমার চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২১
এআর/টিসি