ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাঁশখালীবাসীর ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি: মোস্তাফিজুর এমপি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৬ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২১
বাঁশখালীবাসীর ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি: মোস্তাফিজুর এমপি ফাইল ছবি।

চট্টগ্রাম: বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং দুইবার নির্বাচিত এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, বাঁশখালীর মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করে তাদের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।  

‘তারপরও যারা বিগত দিনে এলাকায় কোনও উন্নয়ন কাজ করতে পারেনি, তারা আমার কাজে ঈর্ষান্বিত হয়ে নানান ইস্যু তুলে বার বার উন্নয়ন কাজকে বাধাগ্রস্ত করছে’।

সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, আল্লাহ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল বিধায় প্রধানমন্ত্রী কারো কান কথায় ও ভাড়াটেদের মিথ্যা প্রচারণায় আমার প্রতি কোন ধরনের বিরূপ মনোভাব পোষণ করেননি।  

মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি বলেন, বাঁশখালীর উপকূলীয় ৮ ইউনিয়নের জনগণ আকাশে মেঘ জমলে জিনিসপত্র নিয়ে পাহাড়ি এলাকার দিকে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে চলে আসতো জোয়ার ও বন্যার আশংকায়।

সেই উপকূলে এখন স্বপ্নের সোনার ফসল ফলছে আর উপকূল জুড়ে চলছে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ।  

‘আমি যখন ২০১৪ সালে প্রথম এমপি নির্বাচিত হই, সংসদে আমার প্রথম দাবি ছিল- বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকার জনগণকে রক্ষা করা। আল্লাহর রহমত ও প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টির কারণে আজ উপকূলে স্থায়ী বেড়িবাঁধ হয়েছে। এই বেড়িবাঁধ দিয়ে মেরিন ড্রাইভ হলে উপকূলের জনগণ তাদের স্বপ্নের সবকিছুই কাছে পাবে’।

উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসমূহ:

পশ্চিম বাঁশখালীতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণে ৩০০ কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাঁশখালীর প্রধান সড়ক সংস্কারে ৮০ কোটি টাকার কাজ এবং প্রধান সড়ক প্রশস্তকরণে ১৫০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এমপির বিশেষ বরাদ্দ হতে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে সংযোগ সড়কের উন্নয়নকাজ করা হয়েছে।  

জেলা পরিষদ থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নে রাস্তার উন্নয়নে কালভার্ট ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪৩ কোটি টাকার কাজ এবং এলজিইডি থেকে ৫০ কোটি টাকার সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের আওতাধীন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নে এইচ.বি দ্বারা ব্রিক সলিং এর ৩০ কোটি টাকার কাজ, ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০টি কালভার্ট  নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। ইকো পার্কে বাঁধ নির্মাণ ও রাস্তা সংস্কারে করা হয়েছে ১০ কোটি টাকার কাজ ।  

বাঁশখালী উপজেলার ৪টি কলেজে ৫টি ৪ তলা ভবন নির্মাণে ২০ কোটি টাকার কাজ, ২০টি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪ তলা ভবনের ৮০ কোটি টাকার কাজ, ৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণে ১৫০ কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।  


 আলাওল ডিগ্রি কলেজ ও বাঁশখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করা হয়েছে। জলদি হোছাইনীয়া মাদ্রাসা এবং পুঁইছড়ি মাদ্রাসাকে কামিল শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়েছে। বাহারছড়া ইউনিয়নে সমুদ্র সৈকত পর্যটন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার অনুমোদন পেয়েছেন।  

এছাড়া উপজেলা নতুন কোর্ট ভবন, উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন, থানা ভবন, উপজেলা ভূমি অফিস, খানাবাদ ভূমি অফিস ভবন, কৃষি ভবন, ফায়ার সার্ভিস ভবন নির্মাণে মোট ৩০ কোটি টাকার কাজ করা হয়েছে।  

উপজেলায় ৪টি নতুন বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন নির্মাণ, ১ লাখ নতুন মিটার সংযোজন এবং শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা হয়েছে। টিআর, কাবিখা, রাস্তাঘাট উন্নয়ন, মসজিদ, মন্দির, বৌদ্ধ বিহারে ৩৫ কোটি টাকার অনুদান দেওয়া হয়েছে। সুপেয় পানি সরবরাহের লক্ষ্যে ২৫০টি গভীর নলকূপ প্রদান করা হয়েছে। উপজেলায় দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৫টি মুজিব কিল্লার ১৫ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে।  

বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন অ্যাম্বুলেন্স, থানায় নতুন গাড়ি, নির্বাহী কর্মকর্তা-কৃষি কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি)জন্য নতুন গাড়ি প্রদান করা হয়েছে। করোনাকালীন সময় বাঁশখালী উপজেলার ১৬ হাজার গরীব ও দুস্থ পরিবারকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ এবং ১০ হাজার পরিবারকে ইফতার সামগ্রী প্রদান করা হয়। উপজেলায় ৩০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন সেন্টার খুলে করোনাকালীন সময়ে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর উদ্যোগে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২১
এমএম/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।