ঢাকা, রবিবার, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ শাবান ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ধীরে চলে সেলাই মেশিন, প্যাডেলে জমছে ধুলা

সোহেল সরওয়ার, সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২১
ধীরে চলে সেলাই মেশিন, প্যাডেলে জমছে ধুলা ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: রমজান মাস শুরু হওয়ার আগে থেকেই ব্যস্ততা বাড়ে দর্জিদের। কিন্তু করোনাকাল তাদের জন্য বয়ে এনেছে দুর্যোগ।

হাতে কাজ না থাকায় পার করতে হচ্ছে অলস সময়।

প্রথম দফা লকডাউনের ধকল কাটিয়ে ওঠার আগেই ২য় দফায় বন্ধ হয়ে যাওয়া মার্কেটগুলোর দর্জিরা রোজগার হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন।

সংসার খরচ চালাতে না পেরে অনেকে পরিবারের সদস্যদের পাঠিয়ে দিয়েছেন গ্রামে। আয়ের আশায় সেলাই মেশিন নিয়ে তারা আছেন শহরে।

শুক্রবার (৯ এপ্রিল) থেকে ৫দিন আট ঘন্টার জন্য দোকান খোলা রাখা হলেও এসময়ে গ্রাহক পাওয়া যাবে কি-না তা নিয়েও রয়েছে উৎকণ্ঠা। এমনিতেই হাল ফ্যাশনের রেডিমেড পোশাকের কারণে রোজগার কমেছে দর্জিদের। সেলাই করা পোশাকের চাহিদা কমেছে অনেকটাই।

তবুও বয়স্ক বা প্রবীণদের পছন্দ তৈরি করা পোশাকই। ফলে দর্জিরা মুখিয়ে থাকেন ঈদ বা পূজার মতো উৎসবের দিকে। অন্যান্য বছরগুলোতে ঈদের আগে রমজান মাসে অনেক দর্জি নাওয়া-খাওয়া ভুলে রাত জেগে কাজ করতেন। কিন্তু এবছর সেসব অতীত। করোনাকালে দর্জিদের কাছে গ্রাহকরা যাবেন কি না, তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

নগরের জহুর হকার্স মার্কেট, খলিফা পট্টি এলাকায় অধিকাংশ দর্জি নিজেদের পুরনো পেশাকেই আঁকড়ে ধরে আছেন। তাদের হাত ধরে অনেকে টেইলারিং-এর কাজ শিখে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। কেউ আবার দোকান খুলেও বসেছেন।

বুক সোসাইটি মার্কেট এলাকার দর্জি মো. রমজান আলী বাংলানিউজকে বলেন, পরিবার নিয়ে বস্তিতে থাকি। ঘর ভাড়াও নিয়মিত দিতে পারি না। আগে দৈনিক ২৫০-৩০০ টাকা রোজগার হতো। এখন ১০০ টাকাও মিলে না। করোনার এই সময়ে মেশিন নিয়ে বসে উল্টো ১০০ টাকা জরিমানা আর পুলিশের পিটুনি খেয়েছি।  এখানকার ১শ জন দর্জি কষ্টে আছে।

হকার্স মার্কেট এলাকায় দেখা গেছে, দর্জিরা গল্প-গুজব করে সময় কাটাচ্ছেন। দোকান ভাড়া আর ঈদের খরচ নিয়ে চিন্তিত তারা। নগরের অলি-গলিতে গড়ে ওঠা টেইলারিং দোকানগুলোতেও নেই তেমন কাজের চাপ। ধীরে চলে সেলাই মেশিন, প্যাডেলে জমছে ধুলা। কাপড় কাটার কাঁচিতে ধরছে জং।
 
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২১
এসএস/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।